রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিনজন সাক্ষ্য দেন। আর এর মধ্যদিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপর আদালত আগামী ১২ নভেম্বর এ মামলায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন। সাক্ষীরা হলেন- তদন্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও সুবেদার শওকত আলী।
আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হল।
গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে গত ২৬ আগস্ট একমাত্র আসামির মজনুর বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। গত ১৬ আগস্ট এ মামলার চার্জশিট আমলে নেয়া হয়। গত ১৬ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক।
বাগেরহাটে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ: মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন
চার্জশিটে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী ওই ভিকটিম ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাবির রোকেয়া হলে থাকেন। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। তখন ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসামি মজনু আসে।
মজনু মেয়েটিকে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামি তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, ব্যাগ ও নগদ হাজার টাকা নিয়ে নেয় মজনু। এক পর্যায়ে মেয়েটি দৌঁড়ে রিকশা করে তার বান্ধবীর বাসায় যান।
ধর্ষণের ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডে র্যাব আসামি মজনুকে গ্রেফতার করে। গত ১৬ জানুয়ারি আসামি আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।