DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবুধবার ১৬ই জুলাই ২০২৫
ঢাকাবুধবার ১৬ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

তিন বন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ভিডিও করে চাঁদা দাবি

News Editor
অক্টোবর ১৪, ২০২০ ১০:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রেমিকসহ তিন বন্ধু মিলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করেছে। পরে ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করারও অভিযোগ ওঠে। ১১ অক্টোবর উপজেলার বড়মহেশখালী ইউপির দেবেঙ্গাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রেমিক এবাদুল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দেবেঙ্গা পাড়ার ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে গুলগুলিয়া পাড়ার মো. আলী ওরফে নবাব মিস্ত্রির ছেলে এবাদুল্লাহর প্রেম ছিল। ১১ অক্টোবর ফোন করে ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন এবাদুল্লাহ। স্কুলছাত্রী বের হয়ে দেখেন প্রেমিকের সঙ্গে তার আরো দুই বন্ধু রয়েছে। তারা হলেন- গুলগুলিয়া পাড়ার মো. আলীর ছেলে খায়রুল আমিন ও একই এলাকার আলী আহামদের ছেলে নূরুল হাকিম। একপর্যায়ে প্রেমিকসহ তিনজনই ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন।

কষ্টিপাথরের ‘শিবলিঙ্গ’ বিক্রির সময় যুবক আটক

স্থানীয় ইউপি সদস্য এরফান উল্লাহ জানান, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি জানায় ধর্ষকরা। ভিডিও ধারণের কথা জানিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে তারা। না দিলে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

এরফান উল্লাহ বলেন, তাদের ধরতে একটি ফাঁদ পাতা হয়। এর অংশ হিসেবে চাঁদার টাকার জন্য ১২ অক্টোবর রাতে স্থানীয় বিলে আসে প্রেমিক এবাদুল্লাহ, খায়রুল আমিন ও জাহাঙ্গীর নামের আরো একজন। ধর্ষণে জড়িত নূরুল হাকিম আসেনি। একপর্যায়ে আমিসহ স্থানীয়রা ধানক্ষেতে ওত পেতে থাকি। টাকা নিতে এলে এবাদুল্লাহ ও খায়রুল আমিনকে ধরে ফেলা হয়। কিন্তু স্থানীয় আকতার কামালের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাসেল প্রভাব কাটিয়ে খায়রুল আমিনকে ছাড়িয়ে নেন। পরে পুলিশ এবাদুল্লাহকে আটক করে।

মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই জানান, এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা। গ্রেফতার প্রেমিক এবাদুল্লাহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]