এস.এম জামাল উদ্দিন শামীমঃ– ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলায় ৪২ চাকার লরির ভারে বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা হয়েছে। এতে লরির অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ত্রিশাল থানায় মামলাটি করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল হালিম । বিষয়টি নিশ্চিত করে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন বলেন, মামলায় কোটি টাকা ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সে টাকা ক্ষতিপূরণ কে দেবেন, সেটি আদালত নির্ধারণ করবেন। মামলা হলেও গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লরি চালককে শনাক্ত করা যায়নি। গত বুধবার বিকেলে চেলেরঘাট এলাকায় খিরু নদের ওপর বেইলি ব্রিজটি দিয়ে ১২০ টন ভারবাহী ৪২ চাকার একটি লরি পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। লরিতে বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার ছিল। ওই সময় ব্রিজটিতে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল । গাড়িটিও ব্রিজটির সঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা তিনজন যাত্রী আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী বলেন,ট্রান্সফরমার ও লরিটি এখান থেকে সরাতে বড় ক্রেনের প্রয়োজন হবে এতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এগুলো অপসারণ করার পর দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও এখানে একটি নতুন একটি ব্রিজ করার আবেদন করবো। তবে, ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখে গেছেন। তারাও দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আশা করছি। তবে, এ বিষয়ে এনার্জি প্যাকের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি । সওজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি ১৯৮৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল । পরবর্তী সময়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বেইলি সেতুটির পাশে আরও একটি সেতু নির্মাণ করে সওজ। নতুন সেতুটি নির্মাণের পর বেইলি সেতুটি চার লেন সড়কের একটি পাশ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। সেতুটি ভেঙে পড়ায় পাশের সেতুটি দিয়ে দুই পাশের যানবাহন চলাচল করছে। ভেঙে পড়া বেইলি ব্রিজটি পুরোনো হলেও সেটি সচল ছিল । অতিরিক্ত ভারবাহী ৪২ চাকার লরিটি সেতুতে ওঠার পরপর সেটি ভেঙে পড়ে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।