অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পূর্বের এলসিগুলো ও স্থলপথ দিয়ে রপ্তানির বিষয়ে দুর্গাপূজার পর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
মোজাম জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পূর্বের এলসিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানিকারকদের থেকে এলসির কপি গ্রহণ করে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। সেই এলসিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৯ অক্টোবর দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে বৈঠক বসার কথা ছিল। ওই বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ভোক্তা অধিকার, খাদ্য ও বণ্টনবিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের উপস্থিত থাকার কথা ছিল এবং তার ওপরেই স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগের দিন গত বৃহস্পতিবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যার কারণে শুক্রবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গাপূজা, যার কারণে সরকারি ছুটি থাকবে। তাই পূজার পর ছাড়া এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে দেশটির রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এখনো স্থলপথে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে দুটি জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। যদিও আমদানিকারকরা এই পথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী নন।