ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর

দেওয়ানগঞ্জে ব্রীজের জন্য  হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০১:০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৩৫ বার পড়া হয়েছে

বোরহানউদ্দিন,দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধি :জামালপুর জেলার  দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চখারচর কাঠারবিল রাস্তার খালের উপর পাকা সেতু নির্মাণ  না হওয়ায় পুরোনো বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ছয় গ্রামের হাজার হাজার  মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় যুগ যুগ ধরে ছয়টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের চখারচর ও কাটার বিল রাস্তা খালের উপর ব্রিজ না থাকায়  এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে খালের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করে আসছে। সেতুটি ২০২২ সালে বন্যায় ভেঙ্গে পড়লে  সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফাকে জানালে তিনিপ্রায় ১০০ মিটার বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন।  ২০২৩ খালে শাশুড়ি ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি । 

হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের সাপমারি, চখার চর, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের শাহাজাদ পুর, ধুলাউড়ি, বগার চর ইউনিয়নের সাতভিটা, হামিদপুরসহ ছয়টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ খাল পারাপারে দুভোর্গে পোহাতে হচ্ছে।শাহাজাদপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা বলে, খালে বাঁশের সাকোঁ ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা কাঠারবিল স্কুলে যেতে পারি না। ছোট নৌকা দিয়ে পার হতে ভয় লাগে।চখারচর গ্রামের কৃষক বেলায়েত হোসেন বলেন, চখারচর খালে সেতু বা সাঁকো না থাকায় আমরা বিপদে রয়েছি। কাঠার বিল হাট বাজারে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। যানবাহন চলাচল না করতে পারায় হাটে ধান পাট সবজি নিতে পারিনা। কামরুল ইসলাম শিক্ষক বলেন আগে এক কিলোমিটার রাস্তা পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হবে  হাতীভাঙ্গা ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন ব্রীজ নির্মানের কোন খবর নেই।

ব্রীজ না থাকায ছয় গ্রামের মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। হাতীভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে চখার চর গ্রামটি অবহেলিত ও ঘনবসতিপূর্ণ। কাঠার বিল চখারচর রাস্তা খালে সেতু না থাকায় ছয়টি গ্রামের মানুষ চরম বিপাকে রয়েছে।  এলাকাবাসী সাঁকোটি নির্মানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহামেদ বলেন, সেতু নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে, তবে কিছু দিন সময় লাগবে।দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান ব্রীজটি নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় হবে।

ট্যাগস :

দেওয়ানগঞ্জে ব্রীজের জন্য  হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ

আপডেট সময় : ০১:০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বোরহানউদ্দিন,দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধি :জামালপুর জেলার  দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চখারচর কাঠারবিল রাস্তার খালের উপর পাকা সেতু নির্মাণ  না হওয়ায় পুরোনো বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ছয় গ্রামের হাজার হাজার  মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় যুগ যুগ ধরে ছয়টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের চখারচর ও কাটার বিল রাস্তা খালের উপর ব্রিজ না থাকায়  এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে খালের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করে আসছে। সেতুটি ২০২২ সালে বন্যায় ভেঙ্গে পড়লে  সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফাকে জানালে তিনিপ্রায় ১০০ মিটার বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন।  ২০২৩ খালে শাশুড়ি ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি । 

হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের সাপমারি, চখার চর, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের শাহাজাদ পুর, ধুলাউড়ি, বগার চর ইউনিয়নের সাতভিটা, হামিদপুরসহ ছয়টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ খাল পারাপারে দুভোর্গে পোহাতে হচ্ছে।শাহাজাদপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা বলে, খালে বাঁশের সাকোঁ ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা কাঠারবিল স্কুলে যেতে পারি না। ছোট নৌকা দিয়ে পার হতে ভয় লাগে।চখারচর গ্রামের কৃষক বেলায়েত হোসেন বলেন, চখারচর খালে সেতু বা সাঁকো না থাকায় আমরা বিপদে রয়েছি। কাঠার বিল হাট বাজারে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। যানবাহন চলাচল না করতে পারায় হাটে ধান পাট সবজি নিতে পারিনা। কামরুল ইসলাম শিক্ষক বলেন আগে এক কিলোমিটার রাস্তা পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হবে  হাতীভাঙ্গা ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন ব্রীজ নির্মানের কোন খবর নেই।

ব্রীজ না থাকায ছয় গ্রামের মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। হাতীভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে চখার চর গ্রামটি অবহেলিত ও ঘনবসতিপূর্ণ। কাঠার বিল চখারচর রাস্তা খালে সেতু না থাকায় ছয়টি গ্রামের মানুষ চরম বিপাকে রয়েছে।  এলাকাবাসী সাঁকোটি নির্মানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহামেদ বলেন, সেতু নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে, তবে কিছু দিন সময় লাগবে।দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান ব্রীজটি নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় হবে।