ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের শিকার হয়ে ২২ বছরের এক নারী মৃত্যুর প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাজ থেকে আর বাড়ি ফেরেননি বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ‘অনেক খোঁজাখুজির পর সন্ধান মেলেনি ওই যুবতীর। পরে ধর্ষণের পর অজ্ঞান অবস্থাতেই তাকে রিক্সায় তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান তিনি। ওই নারীর পা ও স্পাইনাল কর্ড ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান তার স্বজনরা’।
ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগ, ‘মেয়েটিকে ধর্ষণের আগে কোনও ইঞ্জেকশন দেয়া হয়’।
এই ঘটনায় ইতোমধ্যে বালারামপুর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ গণধর্ষণের শিকার নারীর মৃত্যুতে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ
এর আগে ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাথরস নামের আরেক দলিত তরুণীর মৃত্যু। জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মরদেহ পরিবারকে না দিয়ে রাতারাতি সৎকার করে পুলিশ। প্রভাবশালী চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে হাথরসকে ধর্ষণ অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। নারীদের নিরাপত্তার দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন অনেকে। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জল কামান এবং লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ।