ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গায় দীর্ঘ যানজট, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৩২ বার পড়া হয়েছে

‘লকডাউন’ : হঠাৎ বাজারে ক্রেতাদের ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত!

জেলা প্রতিনিধিঃ

‘লকডাউন’ কার্যকর হওয়ার আগের দিনই হঠাৎ শহরে মানুষের আনাগোনা বেড়েছিল। গতকাল রোববার স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরের চিত্র ছিল ভিন্ন।

শহরের প্রত্যেকটি বাজারেই ছিল মানুষের বেশ ভিড়। শহীদ আবুল কাশেম সড়ক, পুরাতন হাসপাতাল রোডসহ শহরের প্রত্যেকটি সড়কেই অন্যদিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশি।

বিশেষ করে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সারা দিনই যানজট ছিল। শহরে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দেখা গেছে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে।

দেখা গেছে, ‘লকডাউন’-এর খবরে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে আতঙ্কের কেনাকাটা বা প্যানিক বায়িং শুরু হয়ে গেছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করছেন। কেউ কেউ একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনে ঘরে ফিরছেন। ‘লকডাউন’ পরিস্থিতির বিবেচনা করে অনেক মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুদ শুরু করেছেন।

শহরের বাজারগুলোতে লোকজনের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ‘লকডাউন’ খবরে রমজান মাসের এবং সেই সাথে ঈদের কেনাকাটাও সারছেন কেউ কেউ। শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিউ মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটে ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা গেছে। বেশিরভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন।

অনেককে নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটের দোকানগুলোতে শাড়ী-কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় কিনতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার নীচের বাজারের পাইকারি কাঁচা বাজারে বড় বড় ব্যাগ নিয়ে অনেককে বাজার করতে দেখা গেছে।

হঠাৎ বাজারে ক্রেতার চাপ বেড়ে যাওয়াতে কাঁচা তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য পণ্যে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। যা আগের দিনের তুলনায় ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি। পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেক ৩৭ টাকা, বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, শশা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আলু ১৫ থেকে ১৬ টাকা, লালশাক ১০ টাকা আটি।

যা আগের দিন সকালের চেয়ে কেজি প্রতি কয়েক টাকা বেশি। অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গার সমবায় নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাহাবুল নামের এক ক্রেতা জানান, গতবার করোনার কারণে ঠিকমতো মার্কেট করতে পারেননি।

এবারও যদি একই পরিস্থিতি হয়, তাই ‘লকডাউন’-এর খবরে আগে থেকেই যতদুর সম্ভব কিনে রাখছি।

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত শনিবার সকালে প্রথম ‘লকডাউন’-এর খবর জানান। এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘লকডাউন’-এর সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বাজারে ভিড় বাড়তে শুরু করে এদিন বেলা দুইটার পর থেকেই।

ট্যাগস :

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গায় দীর্ঘ যানজট, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

আপডেট সময় : ০৬:৪২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

‘লকডাউন’ : হঠাৎ বাজারে ক্রেতাদের ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত!

জেলা প্রতিনিধিঃ

‘লকডাউন’ কার্যকর হওয়ার আগের দিনই হঠাৎ শহরে মানুষের আনাগোনা বেড়েছিল। গতকাল রোববার স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরের চিত্র ছিল ভিন্ন।

শহরের প্রত্যেকটি বাজারেই ছিল মানুষের বেশ ভিড়। শহীদ আবুল কাশেম সড়ক, পুরাতন হাসপাতাল রোডসহ শহরের প্রত্যেকটি সড়কেই অন্যদিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশি।

বিশেষ করে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সারা দিনই যানজট ছিল। শহরে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দেখা গেছে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে।

দেখা গেছে, ‘লকডাউন’-এর খবরে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে আতঙ্কের কেনাকাটা বা প্যানিক বায়িং শুরু হয়ে গেছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করছেন। কেউ কেউ একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনে ঘরে ফিরছেন। ‘লকডাউন’ পরিস্থিতির বিবেচনা করে অনেক মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুদ শুরু করেছেন।

শহরের বাজারগুলোতে লোকজনের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ‘লকডাউন’ খবরে রমজান মাসের এবং সেই সাথে ঈদের কেনাকাটাও সারছেন কেউ কেউ। শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিউ মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটে ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা গেছে। বেশিরভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন।

অনেককে নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটের দোকানগুলোতে শাড়ী-কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় কিনতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার নীচের বাজারের পাইকারি কাঁচা বাজারে বড় বড় ব্যাগ নিয়ে অনেককে বাজার করতে দেখা গেছে।

হঠাৎ বাজারে ক্রেতার চাপ বেড়ে যাওয়াতে কাঁচা তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য পণ্যে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। যা আগের দিনের তুলনায় ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি। পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেক ৩৭ টাকা, বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, শশা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আলু ১৫ থেকে ১৬ টাকা, লালশাক ১০ টাকা আটি।

যা আগের দিন সকালের চেয়ে কেজি প্রতি কয়েক টাকা বেশি। অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গার সমবায় নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাহাবুল নামের এক ক্রেতা জানান, গতবার করোনার কারণে ঠিকমতো মার্কেট করতে পারেননি।

এবারও যদি একই পরিস্থিতি হয়, তাই ‘লকডাউন’-এর খবরে আগে থেকেই যতদুর সম্ভব কিনে রাখছি।

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত শনিবার সকালে প্রথম ‘লকডাউন’-এর খবর জানান। এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘লকডাউন’-এর সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বাজারে ভিড় বাড়তে শুরু করে এদিন বেলা দুইটার পর থেকেই।