বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দেশের জনগণও অতীত অভিজ্ঞতায় বিশ্বাস করেন যে, কোন দলীয় সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে না। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবদায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দুটি জাতীয় নির্বাচনই নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জনগন আজও স্মরণ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রথম বার বালাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পীকার তদনানীন্তন পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি শহীদে মিল্লাত এ.কে.এম. ফজলুল কাদের চৌধুরীর ৫০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন দেশের রাজনীতিতে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণের প্রত্যাশা ও দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সরকার যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন মেনে না নেন তাহলে বর্তমানে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোতে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে মুসলিম লীগ আশঙ্কা করছে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্ত্বে আজ বৃহস্পতিবার দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ সভাপতি অধ্যাপক কাজী আশফাক, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, অতিঃ মহা সচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ এ কাফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন, আব্দুল আলিম, মামুনুর রশিদ, ছাত্র নেতা মো. নুরুজ্জামান। আলোচনা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।