প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে একটি অপশক্তি বিশৃঙ্খলা করতে চেষ্টা করবে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনো অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় যেতে হবে। সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে হবে। সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে রাজপথে নামাতে হবে।
শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমার মা, বাবা, ভাই নেই। আপনারাই আমার সব। আমার সবকিছুই আপনারা দেখবেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী থান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সিনিয়র সহসভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস সহ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে দু’দিনের সফরে টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌঁছান। তারপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শৃঙ্খলমুক্তির মহানায়কের প্রতি অতল সম্মান প্রদর্শন করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন।
তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। প্রার্থনা করেন দেশের সুখ, শান্তি, অগ্রগতি, অব্যাহত উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য।
দুপুর পৌনে ১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে রওনা হন। পদ্মা সেতু হয়ে তিনি বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান।