ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে বিভিন্ন দলের শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

নোয়াখালীর হাতিয়াতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৫৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম,
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃনোয়াখালীর হাতিয়াতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা,২৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে যৌতুকের দাবিতে আশেয়া আক্তার প্রিয়া (২০) গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিরা ২৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যের কারণে আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং এরই মধ্যে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামি। পুলিশের তালবাহনায় মামলার বাদী ও তার পরিবার সঠিক বিচার পাবেন কি-না সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করছেন।
রবিবার (১৫নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে ওই গৃহবধূর মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা এসব অভিযোগ করেন।
নিহতের পরিবার আরো অভিযোগ করেন, আসামিরা চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের আত্নীয় হওয়ায় তাদের পুরাতন (মোল্লা বাড়ীতে) সাহাব উদ্দিনের ঘরে আশ্রায় নিয়ে আত্নগোপন করে আছে। আবদুল হালিম আজাদ চেয়ারম্যান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীর যোগসাজশে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছেনা। নিহত গৃহবধূর মা রাহেনা বেগম (নিলুফা) জানান, মামলা হওয়ার পরে পুলিশ আমার সাথে যোগাযোগ করাতো দূরের কথা, বরং আমার স্বামী পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্টো আমার স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ করেন। মামলার প্রধান আসামি ইদ্রিস পুলিশের যোগসাজশে দেশ ত্যাগ করেছে বলে দাবি করেন। সর্বোপরি এই মামলায় পুলিশ, আসামি ও চেয়ারম্যানের ত্রিমুখি যোগসাজশে আসামি গ্রেফতার না হওয়াসহ ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছ ভুক্তভোগী পরিবার।

চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ জানান, নিহতের পরিবার যে অভিযোগ করেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা।

এ বিষয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন, তিনি হাতিয়া থানায় গত ১মাস আগে এসেছেন। আসামি গ্রেফতারে তিনি জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বাদী পক্ষের কেউ তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন না বলে তিনি দাবি করেন।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ( ২১ অক্টোবর) হাতিয়ার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গৃহবধূ আয়েশা আক্তার প্রিয়াকে (২০) যৌতুকে টাকা না দেওয়ায় ও স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে হত্যার উদ্দেশ্য পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গত (২৪ অক্টোবর) হাতিয়া থানায় নিহতের মা রাহেনা বেগম নিলুফা বাদী হয়ে নিহতের স্বামী, শশুর , দেবর,ননদসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তকর্তাদের সহায়তা কামনা করেছেন এবং হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

 

ভারত

নোয়াখালীর হাতিয়াতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম,
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃনোয়াখালীর হাতিয়াতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা,২৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে যৌতুকের দাবিতে আশেয়া আক্তার প্রিয়া (২০) গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিরা ২৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যের কারণে আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং এরই মধ্যে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামি। পুলিশের তালবাহনায় মামলার বাদী ও তার পরিবার সঠিক বিচার পাবেন কি-না সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করছেন।
রবিবার (১৫নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে ওই গৃহবধূর মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা এসব অভিযোগ করেন।
নিহতের পরিবার আরো অভিযোগ করেন, আসামিরা চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের আত্নীয় হওয়ায় তাদের পুরাতন (মোল্লা বাড়ীতে) সাহাব উদ্দিনের ঘরে আশ্রায় নিয়ে আত্নগোপন করে আছে। আবদুল হালিম আজাদ চেয়ারম্যান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীর যোগসাজশে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছেনা। নিহত গৃহবধূর মা রাহেনা বেগম (নিলুফা) জানান, মামলা হওয়ার পরে পুলিশ আমার সাথে যোগাযোগ করাতো দূরের কথা, বরং আমার স্বামী পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্টো আমার স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ করেন। মামলার প্রধান আসামি ইদ্রিস পুলিশের যোগসাজশে দেশ ত্যাগ করেছে বলে দাবি করেন। সর্বোপরি এই মামলায় পুলিশ, আসামি ও চেয়ারম্যানের ত্রিমুখি যোগসাজশে আসামি গ্রেফতার না হওয়াসহ ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছ ভুক্তভোগী পরিবার।

চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ জানান, নিহতের পরিবার যে অভিযোগ করেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা।

এ বিষয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন, তিনি হাতিয়া থানায় গত ১মাস আগে এসেছেন। আসামি গ্রেফতারে তিনি জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বাদী পক্ষের কেউ তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন না বলে তিনি দাবি করেন।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ( ২১ অক্টোবর) হাতিয়ার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গৃহবধূ আয়েশা আক্তার প্রিয়াকে (২০) যৌতুকে টাকা না দেওয়ায় ও স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে হত্যার উদ্দেশ্য পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গত (২৪ অক্টোবর) হাতিয়া থানায় নিহতের মা রাহেনা বেগম নিলুফা বাদী হয়ে নিহতের স্বামী, শশুর , দেবর,ননদসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তকর্তাদের সহায়তা কামনা করেছেন এবং হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

 

ভারত