শুরুর ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও মালিকপক্ষ দাবি না মানতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন তারা। এদিকে ১১ দফা দাবিতে অনড় রয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ নৌশ্রমিক তাদের যার যার স্থানে কর্মবিরতি পালন করছেন। হয় তাদের ১১ ও ১৫ দফা দাবি মানতে হবে, না হয় নৌযানের হুইল ঘুরতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় নেতারা।
শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা, নদীতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম, নিয়োগপত্র, সার্ভিস বুক ও পরিচয়পত্রসহ বাংলাদেশ লাইটার ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মোংলা বন্দরেও নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন অব্যাহত রেখেছেন।
বন্দরে সকাল নাগাদ ১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অবস্থান করছে। তবে এর মধ্য থেকে দুপুরের পর ৫টি জাহাজ বন্দর ত্যাগ ও পণ্যবোঝাই ১টি নতুন বিদেশি জাহাজ বন্দরে আগমনের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দরে। তবে বন্দর জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ডে চলছে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম।
তিনি আরও বলেন, বন্দরে এর প্রভাব এখনও পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না, তবে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি চললে বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়বে মোংলা বন্দরসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহসভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মামুন হাওলাদার বাচ্চু জানান, নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে সরকার ও মালিকপক্ষ নানা ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এর আগে শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করলেও সরকার ও মালিকপক্ষ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়। দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন না করায় নৌযান শ্রমিকরা ফের বাধ্য হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে। তবে যত দিন পর্যন্ত নৌশ্রমিকদের দাবি মানা না হবে, এবারের কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।
ইতিপূর্বে মালিকপক্ষ নৌশ্রকিদের নিয়ে টালবাহানা করেছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকেই জাহাজের পাশ থেকে সব লাইটারেজ জাহাজ সরিয়ে এনে পশুর নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এসব কার্গো জাহার ও লাইটারেজ জাহাজের কর্মচারীরা এখন অলস সময় অতিবাহিত করছে। বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলভুক্ত আন্তর্জাতিক রুটসহ দেশের সব রুটে নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে।