পাঁচবিবিতে মাদ্রাসায় বিরোধ, সুপারকে মারধর
জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
নিয়োগ বাণিজ্য’ নিয়ে বিরোধের জেরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক মাদ্রাসার সুপার ও তার সহযোগীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে রোববার রাতে জিন্নাতিয়া দাখিল মাদ্রসার ওই সুপার বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে ওই থানার ওসি জাহিদুল হক জানান।
শনিবার রাতে মারধরে ওই মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট আ ন ম আব্দুল মান্নান (৫৪) ও তার সহযোগী একই উপজেলার জয়হার গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান আলী (৪৩) আহত হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এদিকে, ওই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ অভিযোগ করেছেন মামলার আসামিরা। একই মাদ্রসার সহকারী সুপার আব্দুল মান্নান (২য়), এবতেদায়ী শাখা প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলীসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক কর্মচারী অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে আয়া পদে শাকিয়াকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তার স্বামীর এনামুলের কাছ থেকে পাঁচ লাখ থেকে টাকা নেন আ ন ম আব্দুল মান্নান।
এর দুই বছর পর আরও বেশি ঘুষ নিয়ে আরেক নারীকে ওই পদে নিয়োগ দেন তিনি। এরপর ২/৪ হাজার টাকা করে ধীরে ধীরে চার লাখ টাকা শোধ করলেও অবশিষ্ট এক লাখ টাকা দেব দিচ্ছি করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন তিনি।
তারা আরও বলেন, এ সব কারণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সুপার আব্দুল মান্নান শাকিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। পথে সুপারের সাথে দেখা হলে পাওনা টাকা নিয়ে শাকিয়ার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুপার ও তার সহযোগী শাকিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে এলাকাবাসী সুপারকে মারধর করে।
পরে এলাকাবাসীই তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে এনামূল ও তার স্ত্রী শাকিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তবে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট আ ন ম আব্দুল মান্নান বলেন, “শাকিয়াকে নিয়োগ না দেওয়ায় তাদের সঙ্গে বিরোধের জেরে এ হামলা করা হয়।”
কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিহাদ মণ্ডল বলেন, “মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সমস্যার সমাধানে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
পাঁচবিবি থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।