পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, সেনা মদদে নিহত-১০
আস্থা ডেস্কঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটকের পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। চলমান সহিংসতায় পেশোয়ারে চারজনসহ ১০জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে পাঞ্জাবের পর আরও কয়েকটি প্রদেশ থেকে সেনা মোতায়েনের করা হচ্ছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ইমরান খানের কয়েকশ সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
ইমরান খানকে আটকের প্রতিবাদে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও পেশোয়ারসহ সবগুলো বড় শহরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজপথে নেমে আসে খানের হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ ক্রমেই জোরালো হয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জরুরি কক্ষের চিকিৎসকরা গুলিবিদ্ধ চারটি মরদেহ গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া আরও বেশ কিছু মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান খানকে নিজের নিয়ন্ত্রনে গড়া আদালতে তোলার আগে এনএবি সূত্র জানায়, আমরা আদালতের কাছে ইমরান খানের সর্বোচ্চ ১৪ দিনের শারীরিক রিমান্ড চাইবো। আদালত অন্তত চার-পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করবে বলে আশা করা যায়।
ইমরান খানের পর তেহরিক-ই-ইনসাফের মহাসচিব আসাদ ওমরকে আটক করেছে দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। ইমরান খানকে যে আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে আটক করা হয়। সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছেন, তাকেও ইসলামাবাদে আটক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় শাহকে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা আসাদ উমর সাহেবকে আটক করতে সক্ষম হলেও আমাকে পারেনি। আমি সেই সময় আদালতের মধ্যে ঢুকে আটক এড়িয়েছি। এখন একটি নিরাপদ জায়গা থেকে এই ভিডিয়োবার্তা রেকর্ড করছি। সূত্র-রয়টার্স, বিবিসি, জিও নিউজ ও ডন।