ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo আমেরিকান দূতাবাসের সামনে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত Logo ঈশ্বরগঞ্জ পুলিশের অভিযানে গরু চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ৩টি গরু Logo বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে নেমে এসেছে নীরবতা, হারিয়ে গেছে শ্রদ্ধা! Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। Logo তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo কিশোরগঞ্জে গরু চুরি নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

পাকিস্তান ও ভারতকে হারানো সবসময়ই উপভোগ্য: তামিম

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১১৩২ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা সবসময়ই উপভোগ্য। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সাঈদ আনোয়ার ও যুবরাজ সিং-এর ব্যাটিং থেকে অনুপ্রেরণা পেতেন তামিম। তবে, ক্যারিয়ারের শুরুতে তাদের মতো আগ্রাসী হলেও, ধীরে ধীরে ধৈর্যশীল হয়েছেন। আর সে কারণেই ব্যাট হাতে সাফল্য পেয়েছেন বলেও মনে করেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। 

সময়ের পরিক্রমায় দক্ষিণ এশিয়ান ক্রিকেটে দাপুটে দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশও। মাঠের লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সেই উত্তাপ এখন আগের মতো নেই। বরং বাংলাদেশের বিপক্ষে এই দু’দলের ম্যাচেই যেন ঝাঁজ থাকে বেশি।

পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে খেলার রোমাঞ্চকর অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তামিম ইকবালও।

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, যত বড় প্রতিপক্ষ, তত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। পাকিস্তান-ভারতকে হারানো বড় ব্যাপার। এই দুই দলের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারানোও বিশাল ব্যাপার।

ধীরে ধীরে ব্যাটিং স্টাইল বদলে ফেলেছেন তামিম। পরিণত এক ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার সে গল্পই শুনিয়েছেন আবার।

শচীন টেন্ডুলকার ১৫ নভেম্বর, টেস্টের শুরু ও শেষ:-

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, শুরুতে আমি খুব আগ্রাসী ছিলাম। সাঈদ আনোয়ার আর যুবরাজ সিংহের ব্যাটিং উপভোগ করতাম। খুব কম বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে আমার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছি। যখন ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা হয়েছে, খেলাটা বুঝতে শিখেছি, তখন থেকে সবকিছু ভালো হওয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের পর থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে আমি অনেক রান করেছি।

বিপিএলের সুবাদে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে তামিমের। শহীদ আফ্রিদি-শোয়েব মালিকদের সঙ্গে নানা মজার স্মৃতিও রয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, বিপিএলে একবার ওয়াহাব রিয়াজ ক্যাচ ছাড়ায় খুব রেগেছিলাম। মাঝেমাঝে এমন হয়। তবে, তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। শোয়েব মালিক-শাদাব খানরাও মজার মানুষ। শহীদ আফ্রিদি বড় ভাইয়ের মতো। আমরা একসঙ্গে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া মির্জার সঙ্গে আমার স্ত্রীর সুসম্পর্ক রয়েছে।

উর্দুটাও একটু আধটু পারেন তামিম ইকবাল। পিএসএলে এর আগে তিন মৌসুম খেলেছেন পেশোয়ার জালমির হয়ে। এবার খেলছেন লাহোর কালান্দার্সে। 

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, পাকিস্তানে খেলাটা সবসময়ই উপভোগ করি। ইংরেজির পাশাপাশি আমি উর্দু ভাষাতেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। জানিনা, উর্দু কতটুকু বলতে পারি। তাদের বাংলা শেখানোর চেষ্টা করি। দু-একজন একটু-আধটু পারেও। শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিকের সঙ্গে খেলেছি। মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে ঢাকার মাঠে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সেরাদের সেরা। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

বায়ো-বাবলের কারণে থাকতে হচ্ছে আবদ্ধ। শেয়ালকোটে ব্যাটের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান সিএ’র অফিসে গিয়ে নতুন ব্যাট নিয়ে আসতে না পারার আফসোস আছে টাইগারদের ওয়ানডে ক্যাপ্টেনের।

পাকিস্তান ও ভারতকে হারানো সবসময়ই উপভোগ্য: তামিম

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা সবসময়ই উপভোগ্য। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সাঈদ আনোয়ার ও যুবরাজ সিং-এর ব্যাটিং থেকে অনুপ্রেরণা পেতেন তামিম। তবে, ক্যারিয়ারের শুরুতে তাদের মতো আগ্রাসী হলেও, ধীরে ধীরে ধৈর্যশীল হয়েছেন। আর সে কারণেই ব্যাট হাতে সাফল্য পেয়েছেন বলেও মনে করেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। 

সময়ের পরিক্রমায় দক্ষিণ এশিয়ান ক্রিকেটে দাপুটে দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশও। মাঠের লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সেই উত্তাপ এখন আগের মতো নেই। বরং বাংলাদেশের বিপক্ষে এই দু’দলের ম্যাচেই যেন ঝাঁজ থাকে বেশি।

পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে খেলার রোমাঞ্চকর অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তামিম ইকবালও।

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, যত বড় প্রতিপক্ষ, তত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। পাকিস্তান-ভারতকে হারানো বড় ব্যাপার। এই দুই দলের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারানোও বিশাল ব্যাপার।

ধীরে ধীরে ব্যাটিং স্টাইল বদলে ফেলেছেন তামিম। পরিণত এক ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার সে গল্পই শুনিয়েছেন আবার।

শচীন টেন্ডুলকার ১৫ নভেম্বর, টেস্টের শুরু ও শেষ:-

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, শুরুতে আমি খুব আগ্রাসী ছিলাম। সাঈদ আনোয়ার আর যুবরাজ সিংহের ব্যাটিং উপভোগ করতাম। খুব কম বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে আমার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছি। যখন ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা হয়েছে, খেলাটা বুঝতে শিখেছি, তখন থেকে সবকিছু ভালো হওয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের পর থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে আমি অনেক রান করেছি।

বিপিএলের সুবাদে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে তামিমের। শহীদ আফ্রিদি-শোয়েব মালিকদের সঙ্গে নানা মজার স্মৃতিও রয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, বিপিএলে একবার ওয়াহাব রিয়াজ ক্যাচ ছাড়ায় খুব রেগেছিলাম। মাঝেমাঝে এমন হয়। তবে, তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। শোয়েব মালিক-শাদাব খানরাও মজার মানুষ। শহীদ আফ্রিদি বড় ভাইয়ের মতো। আমরা একসঙ্গে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া মির্জার সঙ্গে আমার স্ত্রীর সুসম্পর্ক রয়েছে।

উর্দুটাও একটু আধটু পারেন তামিম ইকবাল। পিএসএলে এর আগে তিন মৌসুম খেলেছেন পেশোয়ার জালমির হয়ে। এবার খেলছেন লাহোর কালান্দার্সে। 

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, পাকিস্তানে খেলাটা সবসময়ই উপভোগ করি। ইংরেজির পাশাপাশি আমি উর্দু ভাষাতেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। জানিনা, উর্দু কতটুকু বলতে পারি। তাদের বাংলা শেখানোর চেষ্টা করি। দু-একজন একটু-আধটু পারেও। শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিকের সঙ্গে খেলেছি। মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে ঢাকার মাঠে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সেরাদের সেরা। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

বায়ো-বাবলের কারণে থাকতে হচ্ছে আবদ্ধ। শেয়ালকোটে ব্যাটের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান সিএ’র অফিসে গিয়ে নতুন ব্যাট নিয়ে আসতে না পারার আফসোস আছে টাইগারদের ওয়ানডে ক্যাপ্টেনের।