DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ১১ই মে ২০২৫
ঢাকারবিবার ১১ই মে ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ-মঈন খান

Astha Desk
অক্টোবর ৫, ২০২৩ ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ-মঈন খান

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজকে পারমাণবিক শক্তি নিয়ে কেউ আর বাহাদুরি করে না। যারা একসময় এ নিয়ে বাহাদুরি করত, তারা এখন এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকে বাংলাদেশের সরকার সেই অপ্রয়োজনীয় জিনিস আঁকড়ে ধরে বাহাদুরি করছে। এটা বাচ্চা ছেলের কাজ। যারা দেশ নিয়ে ভাবে, তারা এসব করতে পারে না।
সময়ের পরিক্রমায় পারমাণবিক শক্তির জৌলুশ আগের মতো নেই, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকারের উচ্ছ্বাস করছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল এর আয়োজনে
“পরিবেশ ও মানব বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে দুর্নীতিগ্রস্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ একটি রাষ্ট্রীয় অপরিণামদর্শিতা” শীর্ষক এই আলোচনা সভায়
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের মতো জনঘনত্বপূর্ণ একটি দেশের জন্য অপরিণামদর্শিতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন মঈন খান।

তিনি বলেন, “পরিবেশের দিক থেকে” মানুষের নিরাপত্তার দিক থেকে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প। যথার্থ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে এই প্রকল্পকে ঘিরে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তার নামে মেগা দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি এবং জীববৈচিত্র্যকে চূড়ান্ত হুমকির সম্মুখীন করার জন্য, অপরিণামদর্শী শেখ হাসিনার সরকারকে একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।

মঈন খান আরও বলেন, ‘’কতটা মূল্য দিয়ে আমরা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পাচ্ছি, কোন কোন যুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলো, সেটি একটি ব্যাপক গবেষণার বিষয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যেন বাংলাদেশের দুঃশাসন ও দুর্নীতির এক জাইগান্টিক মনুমেন্ট। বিগত সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতাধীন আবাসন ও বালিশ-কাণ্ডের অবিশ্বাস্য দুর্নীতিই মূল প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপকতা প্রমাণ করে।’’

আরো পড়ুন :  ‘আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে ভেরি ভেরি হ্যাপি’

তিনি বলেন, ‘’১২ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলিত এই প্রকল্প নিশ্চিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। যার ১২ বিলিয়নের ওপর রাশিয়ার সাপ্লাই ক্রেডিট। আওয়ামী অর্থনৈতিক দুঃশাসনের অন্যতম মাধ্যম হলো, এই সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট। কীভাবে এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয় নিরূপণ হলো, কোন অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে এই ব্যয়ের বাণিজ্যিক কার্যকারিতা নিরূপণ করা হয়েছে সেটা কখনোই জনসমক্ষে আসেনি।’’

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫৮
  • ১১:৫৮
  • ৪:৩২
  • ৬:৩৫
  • ৭:৫৭
  • ৫:১৮