পিরোজপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভায় দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভা শুরু হলে জেলার দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী গুরুতর আহত পিরোজপুরের সমন্বয়কারী রেদওয়ানুল ইসলাম (২২) ও ইমরান হোসেন, শিক্ষার্থী স্বাধীন (২০), শিক্ষার্থী মাশরাফিকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি একজন আহত শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিরোজপুরের সমন্বয়কারী রেদওয়ানুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ওই মতবিনিময় সভায় হামলা করেছে। এতে তিনি সহ কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী আসমা আরা মিতু বলেন, গত ৫ আগস্ট আমাদের আন্দোলনের পরে যখন বিজয় আসছে তখন আমাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ে। সেই থেকে আমাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়। তারাই আজকে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছ। আমাদের মধ্যে ছাত্রলীগ ঢুকে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী জান্নাত রোশনী বলেন, এত নেতাকর্মী আগে ছিল না। আজকে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা হলো সুযোগ সন্ধানী। সুযোগ বুঝেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পিরোজপুর সদর থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারে বসা নিয়ে নিজেদের ভিতর হাতাহাতি হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় সমন্বয়কারীরা পুনরায় শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এস এ সাঈদ প্রমুখ।