ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

প্রিয় কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে নেয়া হল আল্লামা শফীর স্মৃতিচিহ্ন

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৮৩ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ দিনের প্রিয় কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসার ‘মাকবারাতুল জামিয়া’য় শায়িত হেফাজতে ইসলামের আমির ও কওমি অঙ্গনের বর্ষীয়ান সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত হাটহাজারী এই মাদ্রাসায় ৪০ বছর শিক্ষকতা ও ৩৪ বছর ওই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদে আসীন ছিলেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির ইট-পাথরের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে আল্লামা শফির স্মৃতি চিহ্ন। মাদ্রাসার অনেক জায়গার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো। যা হয়ে থাকবে ইতিহাসের সাক্ষী।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আল্লামা শফীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, হুজুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাঙ্গুনিয়ার শরফভাটা ইউনিয়নের পাখিয়ার টিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ তার প্রয়াত পিতার ব্যবহৃত বইপত্র (কিতাব), আসবাবপত্রসহ নানা সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছেন।

দুপুরে জোহরের নামাজের পর এসব সরঞ্জামাদি তিনি পারিবারিকভাবে সংরক্ষণের জন্য মাদ্রাসা থেকে মিনি ট্রাকে করে নিয়ে যান।

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, যুবক নিহত

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হুজুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ যুগান্তরকে বলেন, হুজুরের ব্যবহারিত এসব জিনিস আমাদের কাছে শেষ স্মৃতি। এসব স্মৃতি নিয়ে আমরা তার আদর্শ ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই।

হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে আল্লামা শফীর স্মৃতিচিহ্নগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি সারাদিন আলোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এ বিষয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ইশতিয়াক সিদ্দিকি তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, দেওবন্দসহ বিভিন্ন জামিয়াতে আকাবিরদের স্মৃতিচিহ্ন সম্বলিত এক রুম আছে। যেখানে তাদের রচিত কিতাবাদি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হয়। দেশি-বিদেশি পরিদর্শকরা এতে উপকৃত হয়, প্রভাবিত হয়।

দারুল উলুম হাটহাজারীতেও এমন একটি রুম তৈরি করলে সেটা অন্যান্য মাদরাসার জন্যও অনুসরণীয় হবে।

শাইখুল ইসলাম রহ. এর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন হাটহাজারী মাদরাসার জন্য। আজ তার আসবাবপত্র ও স্মৃতিচিহ্নগুলো পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখে খুব কষ্ট লাগছে।
কর্তৃপক্ষ ও পরিবার চাইলে এমন একটি উদ্যোগের সূচনা হতে পারে।

প্রিয় কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে নেয়া হল আল্লামা শফীর স্মৃতিচিহ্ন

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

দীর্ঘ দিনের প্রিয় কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসার ‘মাকবারাতুল জামিয়া’য় শায়িত হেফাজতে ইসলামের আমির ও কওমি অঙ্গনের বর্ষীয়ান সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত হাটহাজারী এই মাদ্রাসায় ৪০ বছর শিক্ষকতা ও ৩৪ বছর ওই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদে আসীন ছিলেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির ইট-পাথরের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে আল্লামা শফির স্মৃতি চিহ্ন। মাদ্রাসার অনেক জায়গার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো। যা হয়ে থাকবে ইতিহাসের সাক্ষী।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আল্লামা শফীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, হুজুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাঙ্গুনিয়ার শরফভাটা ইউনিয়নের পাখিয়ার টিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ তার প্রয়াত পিতার ব্যবহৃত বইপত্র (কিতাব), আসবাবপত্রসহ নানা সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছেন।

দুপুরে জোহরের নামাজের পর এসব সরঞ্জামাদি তিনি পারিবারিকভাবে সংরক্ষণের জন্য মাদ্রাসা থেকে মিনি ট্রাকে করে নিয়ে যান।

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, যুবক নিহত

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হুজুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ যুগান্তরকে বলেন, হুজুরের ব্যবহারিত এসব জিনিস আমাদের কাছে শেষ স্মৃতি। এসব স্মৃতি নিয়ে আমরা তার আদর্শ ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই।

হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে আল্লামা শফীর স্মৃতিচিহ্নগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি সারাদিন আলোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এ বিষয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ইশতিয়াক সিদ্দিকি তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, দেওবন্দসহ বিভিন্ন জামিয়াতে আকাবিরদের স্মৃতিচিহ্ন সম্বলিত এক রুম আছে। যেখানে তাদের রচিত কিতাবাদি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হয়। দেশি-বিদেশি পরিদর্শকরা এতে উপকৃত হয়, প্রভাবিত হয়।

দারুল উলুম হাটহাজারীতেও এমন একটি রুম তৈরি করলে সেটা অন্যান্য মাদরাসার জন্যও অনুসরণীয় হবে।

শাইখুল ইসলাম রহ. এর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন হাটহাজারী মাদরাসার জন্য। আজ তার আসবাবপত্র ও স্মৃতিচিহ্নগুলো পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখে খুব কষ্ট লাগছে।
কর্তৃপক্ষ ও পরিবার চাইলে এমন একটি উদ্যোগের সূচনা হতে পারে।