ফরিদপুরে বাড়ছে ডেংঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে জেলা সদরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেংঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলাগুলতেও ডেংঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। উপজেলাগুলতে গত জুন মাস থেকে জুলাই এর চলতি সপ্তাহে ডেংঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ফরিদপুর জেলা সদরে গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৮টা পর্যন্ত) জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৬ জন। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ২৩ জন নতুন রোগী। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮৯ জন রোগী। ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৭ জন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়জন ও ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মা ও মেয়েসহ ৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। আক্রান্ত হয়ে অন্যরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১১ জন ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১০ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ফরিদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ২১৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১২৪ জন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর জরুরী বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসের শুরু থেকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন ডেংঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে হাসাপাতালে পাঁচ বছরের শিশু রাইশা ও তার মা সায়মা বেগম ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার পাশাপাশি রানা (২৫) মাহাফুজ মিয়া (২৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেংঙ্গুর চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর বলেন, ফরিদপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আছে। শঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতির কোন সৃষ্টি হয়নি। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হলেও কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের (তাদের) সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সকলকে সচেতন করে তুলতে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা করতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।