ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০১৫ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

 

মামুনুর রশীদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালীর বাছার ডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে রাবেয়া বেগম ওরফে রঙ্গ (৩৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

আজ রোববার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। রঙ্গ উপজেলার ঢেউখালি ইউনিয়নের পিয়াজখালি বাছার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত রাজন বাছারের বড় মেয়ে। তার স্বামী পার্শবর্তী শিবচর থানার বন্দখোলা ইউনিয়নের রাজার চর গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারীর পুত্র হাবলু বেপারী।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবচর থানার বন্দখোলা ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের হাবলু বেপারীর সাথে গত ৮-৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয় রঙ্গের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রাবেয়া স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করত। স্বামী হাবলু বেপারী স্থানীয় পিয়াজখালী বাজারে ফার্নিচারে রঙ্গের কাজ করতো ও রাবেয়া সদরপুরের নয়রশি এলাকায় এ.কে.কে নামক একটি এনজিওতে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করত।

 

সংসার জীবনে স্বামীর সংসারে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পূর্বের সংসারে তার আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১১ আগষ্ট হতে রাবেয়া নিখোঁজ ছিল। পরের দিন ১২ আগষ্ট দুপুরে রাবেয়ার স্বামী হাবলু বেপারী ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় বলে রাবেয়ার মা জানায়।

 

কিন্ত তার মেয়ে রাবেয়া নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। কিন্ত মেয়েকে তিনি কোথাও না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে রাবেয়ার মা বাড়িতে তাদের গোয়াল ঘরের পেছনে গেলে বাথরুমের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে রাবেয়ার দুই পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। তার আত্ম চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন। এরপর সদরপুর থানা পুলিশকে পরিবারের লোকজন খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী হাবুল বেপারী পালাতক রয়েছে।

 

ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহানশাহ পরিদর্শন করেছেন।

 

সদরপুর থানার ওসি মোঃ মামুন আল রশিদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

ফরিদপুরে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

ফরিদপুরে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

 

মামুনুর রশীদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালীর বাছার ডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে রাবেয়া বেগম ওরফে রঙ্গ (৩৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

আজ রোববার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। রঙ্গ উপজেলার ঢেউখালি ইউনিয়নের পিয়াজখালি বাছার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত রাজন বাছারের বড় মেয়ে। তার স্বামী পার্শবর্তী শিবচর থানার বন্দখোলা ইউনিয়নের রাজার চর গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারীর পুত্র হাবলু বেপারী।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবচর থানার বন্দখোলা ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের হাবলু বেপারীর সাথে গত ৮-৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয় রঙ্গের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রাবেয়া স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করত। স্বামী হাবলু বেপারী স্থানীয় পিয়াজখালী বাজারে ফার্নিচারে রঙ্গের কাজ করতো ও রাবেয়া সদরপুরের নয়রশি এলাকায় এ.কে.কে নামক একটি এনজিওতে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করত।

 

সংসার জীবনে স্বামীর সংসারে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পূর্বের সংসারে তার আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১১ আগষ্ট হতে রাবেয়া নিখোঁজ ছিল। পরের দিন ১২ আগষ্ট দুপুরে রাবেয়ার স্বামী হাবলু বেপারী ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় বলে রাবেয়ার মা জানায়।

 

কিন্ত তার মেয়ে রাবেয়া নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। কিন্ত মেয়েকে তিনি কোথাও না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে রাবেয়ার মা বাড়িতে তাদের গোয়াল ঘরের পেছনে গেলে বাথরুমের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে রাবেয়ার দুই পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। তার আত্ম চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন। এরপর সদরপুর থানা পুলিশকে পরিবারের লোকজন খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী হাবুল বেপারী পালাতক রয়েছে।

 

ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহানশাহ পরিদর্শন করেছেন।

 

সদরপুর থানার ওসি মোঃ মামুন আল রশিদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।