ফুলবাড়ীতে প্রতিবেশির দরজায় প্রাচীরে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ
নিজামুল ইসলাম/দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব গৌরিপাড়া (থানাপাড়া) গ্রামে প্রতিপক্ষরা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবু মোঃ রশীদ খানের বাড়ির দরজায় প্রাচীর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ ও তার জায়গা দখল করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভা এলাকার পূর্ব গৌরিপাড়া থানাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ খানের পুত্র আবু মোঃ আব্দুর রশিদ খান গত ২ রা জুলাই/২০২৩ ফুলবাড়ী থানায় দায়ের কৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী পৌরসভা এলাকার পূর্ব গৌরিপাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেন সুজন পিং মোঃ সুলতান ইসলাম, শাহরীয়ার সজীব, পিং মোঃ সোহরাব হোসেন, গোলাম কিবরিয়া শুভ, গোলাম মোস্তফা সজল, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সরকার সবুজ, সিফাত হোসেন সরকার, সকলের পিিং মৃত শহিদুল ইসলাম। তারা গত ৩০ জুন/২০২৩ইং ভোর বেলায় বৃষ্টির মধ্যে আবু মোঃ আব্দুর রশিদ খানের বাড়ির দরজায় প্রাচীর তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যেন বাড়ি থেকে বাহির হতে না পারে সেজন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দেন। গৌরিপাড়া মৌজার ২৭৬ ও ২৬৯ দাগের উপর দিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর যাবৎ চলমান রাস্তায় দুই পার্শ্বে গেটে তালা দিয়ে সকলের চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং তার ২৬৯ নং দাগের পূর্ব পার্শ্বে ৩শতাংশ এবং পশ্চিম পার্শ্বে ২শতাংশ জায়গা তারকাটা দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়।
এই ঘটনায় আবু মোঃ আব্দুর রশিদ খান প্রতিপক্ষদেরকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে লাঠিসোঠা নিয়ে মারতে আসে এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে। মোঃ সোহরাব হোসেন সুজন ও শাহরিয়ার সজিব গত ১৭ মার্চ/২০২৩ইং ২৬৯ দাগের সীমানা বেড়া সরিয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকে ৩ শতাংশ জায়গা দখল করে নেয়।
গত ২২মার্চ/২০২৩ইং থানায় অভিযোগ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সীমানা বেড়া সরিয়ে এনে পূর্ব স্থানে স্থাপন করে দেন। ৩০জুন/২০২৩ইং তারিখে তার চলাচলের রাস্তা ও জায়গা দখল করে ঘিরে নিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। তিনি ও তার বাড়ির ভাড়াটিয়ারাও বাহির হতে পারছে না।। চলাচলের রাস্তাটি দখল করে গেইট নির্মাণ করে তালা দিয়ে রাখছেন। বর্তমান তার ভাড়াটিয়া ও তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন প্রতিপক্ষরা।
প্রতিপক্ষরা বলছেন তাদের দাগে জমি কম আছে, যা দাগ থেকে পূরণ করে দিতে বলছেন আবু মোঃ আব্দুর রশিদ খানকে। উল্লেখ্য যে, ২৬৯নং দাগের উপর দিয়ে যে রাস্তা ছিল গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছিল। ২৭মে/১৯৮১ ইং সালে তার নিয়োগকৃত আমিন বাহার উদ্দিন মন্ডলকে দিয়ে ৩১মে/১৯৮১ইং সালে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
সীমানা নির্ধারণ করার পর উভয় পক্ষদের মধ্যে জমি জমার বিষয়ে চূড়ান্ত রায় হয়। সেই চূড়ান্ত রায়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হয়। মীমাংসা হওয়ার বর্তমান আবারও প্রতিপক্ষরা আবু মোঃ আব্দুর রশিদ খানের জমি পাবে বলে বিরোধ সৃষ্টি করে তার জমি দখল করে নেয়। তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই ঘটনায় আবু মোঃ আব্দুর রশিদ খান প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন।