কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ীতে সূর্যমূখী চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রান্তিক সূ্র্যমূখী চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে এ বছর সূর্যমূখী চাষ অধিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূর্যমূখীর চাষ করেছেন উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু। তিনি জানান, গত বছর ২৪ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাই এবার ৭ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করছেন। তিনি আরও জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী অনেক লাভজনক। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
তাছাড়াও সূর্যমুখী থেকে অনেক উন্নতমানের তেল হয়। কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসল নিয়ে ব্যস্ত। তাই সূর্যমুখী চাষের দিকে নজর দিচ্ছে না। এ বছর কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ দেওয়ার কারণে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
সূর্যমুখী চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সূর্যমুখীর বীজ বপনের সময় হতে পরিপক্ক হতে সাড়ে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে। জমিতে সারিবদ্ধ করে দুই ফুট দূরত্বে লাগাতে হয়। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ বীজ হয়। প্রতি মণ বীজ তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বাজারে বিক্রি হয়। এতে বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ৪-৫ হাজার টাকা।
সূর্যমুখী চাষে বেশি শ্রমিক প্রয়োজন হয় না, রোগবালাইও কম। তাছাড়া সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত। তবে অন্যান্য তেলের চেয়ে দাম একটু বেশি। বেশি সার, পানি ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না বলে জানান কৃষকরা। ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, উপজেলায় এ বছর প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী তেল পুষ্টিকর।
কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষককে বীজ ও পরামর্শ দেয় হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।