ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে

বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হবে: স্পিকার

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৬৩ বার পড়া হয়েছে

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে তার হাতে রচিত ১৯৭২ এর সংবিধানের ভিত্তিতেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাতে সম্মান জানাতে ১৪৭ বিধিতে এ সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সে বসে আলোচনা প্রত্যক্ষ করেন

স্পিকার বলেন, সংবিধানকে সুরক্ষিত ও সমন্বিত রাখার ক্ষেত্রে সবাইকে সদা জাগ্রত ও সচেতন থাকতে হবে। মুজিববর্ষে সংবিধানের সুফল বাংলার সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন গণপরিষদ বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন, বিশ্বের ইতিহাসে দেখা যায়নি কোনো দেশ মাত্র ১০ মাসে শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেছে ৭২ এর সংবিধানে। দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে। এ জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে আমরা তার প্রতিফল শুনতে পাই।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার বক্তব্যের এই মর্মকথা সবাইকে উপলবদ্ধি করতে হবে। সংবিধানের মূল প্রতিপাদ্য স্মরণ রাখতে হবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে হবে। এই সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করার দায়িত্ব জাতির পিতা দেশের জনগণ, ভবিষ্যৎ বংশধরদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপরই ন্যস্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে এই সংবিধান যেন বাংলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের মধ্য দিয়ে অর্থবহ হয়। সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। 

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই প্লেনে রওশন এরশাদ, যেসব কথা হলো সেদিন

স্পিকার বলেন, এই সংবিধান তখনই স্বার্থক হবে যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা-দারিদ্র বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র ক্ষুধামুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি আহবান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, অধ্যাপক আলী আশরাফ, বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। -বাসস

বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হবে: স্পিকার

আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে তার হাতে রচিত ১৯৭২ এর সংবিধানের ভিত্তিতেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাতে সম্মান জানাতে ১৪৭ বিধিতে এ সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সে বসে আলোচনা প্রত্যক্ষ করেন

স্পিকার বলেন, সংবিধানকে সুরক্ষিত ও সমন্বিত রাখার ক্ষেত্রে সবাইকে সদা জাগ্রত ও সচেতন থাকতে হবে। মুজিববর্ষে সংবিধানের সুফল বাংলার সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন গণপরিষদ বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন, বিশ্বের ইতিহাসে দেখা যায়নি কোনো দেশ মাত্র ১০ মাসে শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেছে ৭২ এর সংবিধানে। দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে। এ জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে আমরা তার প্রতিফল শুনতে পাই।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার বক্তব্যের এই মর্মকথা সবাইকে উপলবদ্ধি করতে হবে। সংবিধানের মূল প্রতিপাদ্য স্মরণ রাখতে হবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে হবে। এই সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করার দায়িত্ব জাতির পিতা দেশের জনগণ, ভবিষ্যৎ বংশধরদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপরই ন্যস্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে এই সংবিধান যেন বাংলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের মধ্য দিয়ে অর্থবহ হয়। সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। 

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই প্লেনে রওশন এরশাদ, যেসব কথা হলো সেদিন

স্পিকার বলেন, এই সংবিধান তখনই স্বার্থক হবে যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা-দারিদ্র বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র ক্ষুধামুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি আহবান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, অধ্যাপক আলী আশরাফ, বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। -বাসস