দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ মুনীর হোসেন এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ জানানো হয়েছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালামকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
এই বিষয় ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অনেকেই আমাকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে কিন্তু যেহেতু কিছু জানিনা তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
অপরদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। লোকমুখে শুনছি।
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, ২০১৮ সালে পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রশংসা করে বিভিন্ন আলোচনা করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপের সমালোচনা করেন।
গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান আলালের
কিন্তু জেলা বিএনপির কতিপয় নেতৃবৃন্দ ওয়াহিদ সরোয়ার কালামের বক্তব্যের শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রশংসার অডিও অংশ কেটে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের কাছে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় ধরে ওই অডিও পর্যালোচনা করে রোববার রাতে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য জেলা বিএনপির দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম এক সময় পটুয়াখালী জেলা জাসদের সাথে সক্রিয় ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। সেই থেকে জাসদ কালাম নামে জেলায় পরিচিত ছিলেন তিনি।