বশেমুরবিপ্রবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি আজ রোববার (১ অক্টোবর) থেকে সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডক্টর সালেহ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সমিতি একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছিলো যে, ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি শিক্ষকস্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবিসমূহ মেনে না নেয়, তবে ১ অক্টোবর থেকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতিকে এখনও অফিসিয়ালি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য জানায়নি। বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার পর কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং করে বিস্তারিত জানাবে। কিন্তু নানান সূত্রমতে জানতে পেরেছে যে, শিক্ষকস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তেমন কোন আশাব্যাঞ্জক ফল হয়নি। এমতাবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আগামী ১ অক্টোবর থেকে বশেমুরবিপ্রবির সব শিক্ষককে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হলো।
এদিকে করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগই সেশনজটে রয়েছে, শিক্ষকদের এমন ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করছেন,কেউ বলছেন ঈদের চাঁদ উঠেছে, কেউ বলছেন খুশি হবো না দুঃখ পাবো বুঝতেসি না, আবার কেউ প্রশ্ন করছেন, ভার্সিটি টা একেবারে বন্ধ করার কোন উপাই নাই?
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া বলেন, শিক্ষক সমিতির হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য সত্যি খুবই দুঃখজনক। করোনার জন্য এমনিতেই আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি, সামনে নির্বাচন, এখন যদি শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখে তাহলে আমাদের কি হবে?
সিএসসি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, শিক্ষকদের এই ধর্মঘটে আমি হতাশ, আমি আমার জীবন নিয়ে খুবই হতাশার মধ্যে আছি। শিক্ষকদের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীবান্ধব হয়নি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি সকল শিক্ষকদের প্রতিনিধি। শিক্ষকদের বৈধ দাবিদাওয়া নিয়েই তাদের এই কর্মসূচি।