ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, আইন সংস্কারের পরামর্শ

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৮৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার (৭ অক্টোবর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনয়নে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পক্ষে মত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য অসংখ্য আইন ও কর্ম পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে সম্পর্কে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।  

সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা ও নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ জানায়, ‘আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিস্তৃত, কিন্তু এক্ষেত্রে সাজা দেয়ার বিধান সবচেয়ে কম।

বিবৃতিতে সংস্থাটি ধর্ষণ ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে। 

রোহিঙ্গাদের কারণে দেশে সামাজিক-পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে: শেখ হাসিনা

বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নোয়াখালীর নারী-সহিংসতার ঘটনা সামাজিক,আচরণগত এবং কাঠামোগতভাবে বিদ্যমান নারী-বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে।  

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ, ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তবে আমরা মনে করি, নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট আহ্বান। নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে, পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে আমরা আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছি। জেন্ডার সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থার প্রণয়ন ও উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে, ব্যাপক পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ সর্বদা প্রস্তুত। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ তাদের সকল অংশীদারদের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছি যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে

ধর্ষণ ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বৈশ্বিক পরিসংখ্যানকেও উদ্বেগজনক মন্তব্য করে বিবৃতি আরও বলা হয়, আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিস্তৃত, কিন্তু সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, আইন সংস্কারের পরামর্শ

আপডেট সময় : ১০:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার (৭ অক্টোবর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনয়নে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পক্ষে মত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য অসংখ্য আইন ও কর্ম পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে সম্পর্কে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।  

সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা ও নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ জানায়, ‘আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিস্তৃত, কিন্তু এক্ষেত্রে সাজা দেয়ার বিধান সবচেয়ে কম।

বিবৃতিতে সংস্থাটি ধর্ষণ ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে। 

রোহিঙ্গাদের কারণে দেশে সামাজিক-পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে: শেখ হাসিনা

বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নোয়াখালীর নারী-সহিংসতার ঘটনা সামাজিক,আচরণগত এবং কাঠামোগতভাবে বিদ্যমান নারী-বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে।  

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ, ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তবে আমরা মনে করি, নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট আহ্বান। নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে, পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে আমরা আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছি। জেন্ডার সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থার প্রণয়ন ও উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে, ব্যাপক পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ সর্বদা প্রস্তুত। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ তাদের সকল অংশীদারদের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছি যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে

ধর্ষণ ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বৈশ্বিক পরিসংখ্যানকেও উদ্বেগজনক মন্তব্য করে বিবৃতি আরও বলা হয়, আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিস্তৃত, কিন্তু সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।