আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রাজিলে বিমান দুর্ঘটনায় চতুর্থ বিভাগের ক্লাব পালমাসের চার ফুটবলার, ক্লাব সভাপতি ও পাইলট নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।ব্রাজিলিয়ান কাপের ম্যাচ খেলতে গোইয়ানিয়ায় যাচ্ছিলেন পালমাসের সভাপতি ও খেলোয়াড়রা। উড়োজাহাজটি ছোটই ছিল। কিন্তু সেটি ঠিকমতো ওড়ার আগেই দুর্ঘটনা। টেকঅফের সময়ই বিধ্বস্ত হলো। উড়োজাহাজের ভেতরে থাকা কেউই বেঁচে ফিরতে পারেননি।
ক্লাবের সভাপতি লুকাস মেইরা, চার ফুটবলার লুকাস প্রাসেদেস, গিলের্মে নো, রানুলে ও মার্কাস মলিনারি—পালমাস হারিয়েছে এই পাঁচজনকে। ‘বিমান টেকঅফ করেছিল, এরপর তোকানতিনেসে এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের রানওয়ের শেষ প্রান্তে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়’—বিবৃতিতে জানিয়েছে পালমাস।
তোকানতিনেসে এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশন পালমাস শহরের পাশে ছোট্ট একটি বিমানঘাঁটি। বিবৃতিতে দুঃসংবাদটাও জানিয়েছে পালমাস, ‘শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, কেউই বেঁচে ফিরতে পারেননি।’
৮০০ কিলোমিটার দূরের শহর গোইয়ানিয়ার ক্লাব ভিলা নোভার বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবার ব্রাজিলের ঘরোয়া কাপ টুর্নামেন্ট কোপা ভের্দের শেষ ষোলোতে খেলার কথা ছিল পালমাসের। ব্রাজিলের দক্ষিণ ও উত্তর–পূর্ব অঞ্চলের বিখ্যাত দলগুলোর বাইরের ছোট দলগুলোকে নিয়েই আয়োজিত হয় টুর্নামেন্টটা।কোন উড়োজাহাজে চড়েছিলেন খেলোয়াড়েরা, সেটি জানায়নি পালমাস।
ব্রাজিলে গত সাত বছরে এমন দুর্ঘটনা হলো তিনটি। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর শাপেকোয়েনসে ক্লাবের বিমান দুর্ঘটনা বিশ্ব ফুটবলকেই নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট কোপা সুদামেরিকানার (ইউরোপে যেটি ইউরোপা লিগ) ফাইনালে কলম্বিয়ার আতলেতিকো নাসিওনালের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল শাপেকোয়েনসের। সে জন্য খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তা ও সাংবাদিক মিলিয়ে মোট ৭৭ জন চেপেছিলেন বিমানে। কিন্তু মেদেলিনে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। ৭৭ জনের মধ্যে ৭১ জনই তখন প্রাণ হারান।
এর দুই বছর আগে ব্রাজিলের শীর্ষ স্তরের বিখ্যাত ক্লাব ইন্তারনাসিওনালের সাবেক অধিনায়ক ফের্নানদাও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। ব্রাজিলের গোইয়াস রাজ্যে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।