বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান দুর্বলতা অপসারণ প্রয়োজন।চলমান কভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিশ্ব অর্থনীতিতে যেসব সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তার পূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান দুর্বলতা অপসারণ প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
নিউ ইয়র্কে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) প্রকাশিত ‘মাল্টিলেটারাল ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স ২০২০ (এমএফডি)’ শীর্ষক প্রকাশনার ওপর আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান কভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিশ্ব অর্থনীতিতে যেসব সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তার পূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান দুর্বলতা অপসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন এবং স্বল্প ব্যয় ও স্বল্প ঝুঁকির তহবিলের উৎসসমূহে প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
শিগগির রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে : অর্থমন্ত্রী
বৈশ্বিক উন্নয়ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিচালনার জন্য উদার ও ন্যায়সঙ্গত পরিচালন পদ্ধতি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ যাতে উন্নয়ন ও মানবিক অর্থায়নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরিত এবং উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া, এসডিজি বাস্তবায়নে জাতীয় সরকারগুলোর প্রচেষ্টা ও সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করে উদ্ভাবনী অর্থায়ন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং উদীয়মান প্রযুক্তিসমূহে প্রবেশ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওইসব দেশগুলোতে সম্পদের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে ওইসিডি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। স্বল্পোন্নতসহ ক্ষতিগ্রস্ত অন্য দেশসমূহের জলবায়ুজনিত সংকট দূর করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের ওপরও জোর দেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইসিডি প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অর্থায়ন ব্যবস্থার বিবর্তন, তহবিলের উৎস এবং বিশ্বব্যাপী অর্থায়নের ধরনের মতো বিষয়সমূহের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জসমূহ এবং এর থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায়গুলোও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
ইভেন্টটিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত, ওইসিডির পরিচালক, জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিশেষজ্ঞরা।