জেলা প্রতিনিধিঃআলমডাঙ্গার এরশাদপুরে পাণ্টু হুজুরের আস্তানা থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে।রোববার সকালে ওই নারীর লাশ পাখিভ্যানে করে তাঁর পিতার বাড়িতে পাঠালে তাঁর স্বজনরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগে করেন। এ ঘটনায় পাণ্টুসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের মৃত সামছুদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রশিদের হার্টের অসুখ থাকায় স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে মুক্তামালাকে সাথে নিয়ে ৭-৮ বছর আগে আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামের পাণ্টু হুজুরের আস্তানায় আসেন।
সেখানে তাঁর চিকিৎসা করানোর একপর্যায়ে মুক্তমালা আস্তানায় অবস্থান করতে থাকেন। এদিকে আস্তানার আরেক সদস্য ইছাহক আলীর ছেলে জহুরুল ইসলামের সাথে মুক্তমালার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৭-৮ মাস আগে জহুরুল মুক্তমালাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর তাঁরা পাণ্টুর আস্তানায় অবস্থান করতেন। গতকাল সকালে ওই আস্তানা থেকে ভ্যানযোগে মুক্তমালার লাশ তাঁর পিতার বাড়ি গাংনি উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামে পাঠানো হয়। জানানো হয়, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লাশের গলায় দাগ ছিল।
এ ঘটনায় মেয়ের পিতা আব্দুর রশিদ অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই নারীর পিতা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মুক্তমালা পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স ও একটা সন্তান থাকায় তাঁর শাশুড়ী মেনে না নিয়ে তাঁর ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। পাণ্টু ও তাঁর শাশুড়ী জহুরা বেগমের সহযোগিতায় জহুরুল ও তার ছোট ভাই জমির উদ্দিন মুক্তমালার ওপর শারীরিক এ মানসিক অত্যাচার করে আসছিল।
এরই একপর্যায়ে পাণ্টু হুজুরের সহযোগিতায় তার মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে মারপিট করে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। জহুরুল ইসলাম, জহুরা বেগম, জমির উদ্দিন ও সালাউদ্দিন পাণ্টুসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মুক্তমালাকে মারপিট করে গলাটিপে হত্যা করে গলাই দড়ি দিয়ে ঘরের আড়াই ঝুলিয়ে রাখে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এজাহারে উল্লেখিত আসামি জহুরুল ইসলাম, জহুরুা বেগম ও আস্তানার প্রধান সালাউদ্দিন পাণ্টুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।