ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণ করেছে এমনটি সন্দেহে সামচেল মোল্লা (৩৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাসস্টান্ডে ।
নিহত যুবক একই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর গ্রামের খায়রুল মীর এর সাত বছরের ছেলে রিতাজ মীরকে ওই যুবক নিজের সন্তান বলে জড়িয়ে ধরে রাস্তায় হাঁটার সময় ছেলেটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছেলেটিকে উদ্ধার করে। পরে ওই যুবককে আটক করে পথচারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় এলাকাবাসী তাকে ছেলেধরা সন্দেহ করে বেদম প্রহার করে। একটি পযার্য়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সামচেল মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ভাঙ্গা থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মোঃ হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ওই লোকটি সাত থেকে আট বছরের একটি শিশুকে অপহরণ করে নেওয়ার সন্দেহে জনতা তাকে আটক করে। তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হলে পরে হাসপাতালে মারা যায়। ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল ইসলাম বলেন, যুবকের ফিঙ্গার দিয়ে ভোররাতে পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। নিহত শামসেল এর বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ও নেশাগ্রস্ত মানুষ। এ কারণে তার দুইজন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।গতকাল সন্ধ্যার পরে একটি শিশুকে হাত ধরে টানাটানি করে। তখন ওই শিশুর সঙ্গে থাকা দুইজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রও ছিল। তারা ছেলে ধরা ছেলে ধরা বলে চিৎকার করতেই উৎসুক জনতা সামচেলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।