ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টে গেছে রাজনৈতিক কৌশল

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০২৯ বার পড়া হয়েছে

ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টে গেছে রাজনৈতিক কৌশল

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টিয়ে ফেলে রাজনৈতিক কৌশল। বিএনপি চাইছে সরকারকে চাপে ফেলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে বা এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় যেখানে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চাইছে সংবিধানে বেঁধে দেওয়ার সময় সূচীর মধ্যেই যেকোনো উপায়ে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে। কিন্তু এই দুই দলের কৌশলে এখন সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়েছে মার্কিন ভিসা নীতি।

গত ২২ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসা নীতির আওতায় কয়েকজনের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলে আলোচনা হচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপিও আন্দোলনের কৌশল কিছুটা পরিবর্তন করেছে। যদিও দুই দলই প্রকাশ্যে বলছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ যাই বলুক না কেন, আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এই ভিসা নীতি সুস্পষ্টভাবে সরকারকে চাপে ফেলার একটি কৌশল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং নির্বাচন যেন বাধাগ্রস্ত হয় সেই লক্ষ্যেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বলে আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই মনে করেন। আর এই কারণে আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক কৌশলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে।

এই সমস্ত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছেঃ আওয়ামী লীগ সরাসরি ভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলবে না। নির্বাচনমুখী রাজনীতি করা। বিএনপিকে প্রতিহত করা, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে না ইত্যাদি বক্তব্য না রাখা। মানবাধিকার বিরোধী কোনো বক্তব্য না রাখা। আক্রমণাত্মক বক্তব্য এড়িয়ে চলা।

বিএনপি কদিন আগেও বলছিল, তারা
ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর নির্বাচন প্রতিহত ও বর্জনের হুমকি থেকে সরে এসেছে বিএনপি। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা বলে উল্লেখ করায় বিএনপি এমন কৌশলী হয়েছে। তাদের বক্তব্য এবং প্রচারণায় বলতে চাইছে যে, বিএনপি নির্বাচন করতে চায় কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনবিরোধী নয়, তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। তেমন নির্বাচনের জন্য সরকারই প্রধান অন্তরায়। তারা বলছে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধান বাধা হলো বর্তমান সরকার। এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে সম্ভব নয়। এই বক্তব্যটিকে এখন বিএনপি সামনে নিয়ে এসেছে।

ট্যাগস :

ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টে গেছে রাজনৈতিক কৌশল

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টে গেছে রাজনৈতিক কৌশল

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টিয়ে ফেলে রাজনৈতিক কৌশল। বিএনপি চাইছে সরকারকে চাপে ফেলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে বা এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় যেখানে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চাইছে সংবিধানে বেঁধে দেওয়ার সময় সূচীর মধ্যেই যেকোনো উপায়ে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে। কিন্তু এই দুই দলের কৌশলে এখন সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়েছে মার্কিন ভিসা নীতি।

গত ২২ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসা নীতির আওতায় কয়েকজনের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলে আলোচনা হচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপিও আন্দোলনের কৌশল কিছুটা পরিবর্তন করেছে। যদিও দুই দলই প্রকাশ্যে বলছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ যাই বলুক না কেন, আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এই ভিসা নীতি সুস্পষ্টভাবে সরকারকে চাপে ফেলার একটি কৌশল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং নির্বাচন যেন বাধাগ্রস্ত হয় সেই লক্ষ্যেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বলে আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই মনে করেন। আর এই কারণে আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক কৌশলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে।

এই সমস্ত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছেঃ আওয়ামী লীগ সরাসরি ভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলবে না। নির্বাচনমুখী রাজনীতি করা। বিএনপিকে প্রতিহত করা, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে না ইত্যাদি বক্তব্য না রাখা। মানবাধিকার বিরোধী কোনো বক্তব্য না রাখা। আক্রমণাত্মক বক্তব্য এড়িয়ে চলা।

বিএনপি কদিন আগেও বলছিল, তারা
ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর নির্বাচন প্রতিহত ও বর্জনের হুমকি থেকে সরে এসেছে বিএনপি। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা বলে উল্লেখ করায় বিএনপি এমন কৌশলী হয়েছে। তাদের বক্তব্য এবং প্রচারণায় বলতে চাইছে যে, বিএনপি নির্বাচন করতে চায় কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনবিরোধী নয়, তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। তেমন নির্বাচনের জন্য সরকারই প্রধান অন্তরায়। তারা বলছে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধান বাধা হলো বর্তমান সরকার। এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে সম্ভব নয়। এই বক্তব্যটিকে এখন বিএনপি সামনে নিয়ে এসেছে।