ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা

ভয়াবহতার পথে এগুচ্ছে ডেঙ্গু

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। দুই সপ্তাহের মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দক্ষিণ সিটির মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে। যদিও সিটি করপোরেশন দাবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ঠিক নয়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ২০০০ সালে। এরপর সময় পেরিয়েছে দুই যুগ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বা লাগাম টানতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৯ জন। এ সময় প্রাণ গেছে ১১৯ জনের। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাতেই মারা গেছে ৬৭ জন। তবে এই তথ্য মানতে নারাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা উত্তরে যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় তাদেরকে ঢাকা দক্ষিণের রোগী হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণে মৃত্যু ১২ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছরে মৃত্যু এবং রোগী অনেক কম। আমরা পুরো পরিস্থিতি খুব সিরিয়াসলি নিয়ন্ত্রণ করছি। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে নারীদের সংখ্যা কম হলেও মৃত্যু হচ্ছে তাদেরই বেশি। আর বয়সের দিক থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী আর মৃত্যুও বেশি এই বয়সীদের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, এবছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে এডিস মশা প্রজননে যে উৎস তা বেড়েছে। এছাড়া জুলাই মাসের আন্দোলনের পর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরও দেখা যায়নি।

আগামী ২ সপ্তাহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

বে-নজীর আহমেদ বলেন, যদি সিটি করপোরেশন কাজ করে তাহলে অক্টোবর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিম্নগতি দেখা যাবে। সেপ্টেম্বরের এই কয়েকদিন সিটি করপোরেশন যদি গুরুত্ব নিয়ে কাজ না করে তাহলে গতবারের মত এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদে কাজে লাগানোর পরামর্শ জনস্বাস্থ্যবিদদের।

ট্যাগস :

ভয়াবহতার পথে এগুচ্ছে ডেঙ্গু

আপডেট সময় : ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। দুই সপ্তাহের মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দক্ষিণ সিটির মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে। যদিও সিটি করপোরেশন দাবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ঠিক নয়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ২০০০ সালে। এরপর সময় পেরিয়েছে দুই যুগ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বা লাগাম টানতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৯ জন। এ সময় প্রাণ গেছে ১১৯ জনের। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাতেই মারা গেছে ৬৭ জন। তবে এই তথ্য মানতে নারাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা উত্তরে যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় তাদেরকে ঢাকা দক্ষিণের রোগী হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণে মৃত্যু ১২ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছরে মৃত্যু এবং রোগী অনেক কম। আমরা পুরো পরিস্থিতি খুব সিরিয়াসলি নিয়ন্ত্রণ করছি। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে নারীদের সংখ্যা কম হলেও মৃত্যু হচ্ছে তাদেরই বেশি। আর বয়সের দিক থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী আর মৃত্যুও বেশি এই বয়সীদের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, এবছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে এডিস মশা প্রজননে যে উৎস তা বেড়েছে। এছাড়া জুলাই মাসের আন্দোলনের পর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরও দেখা যায়নি।

আগামী ২ সপ্তাহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

বে-নজীর আহমেদ বলেন, যদি সিটি করপোরেশন কাজ করে তাহলে অক্টোবর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিম্নগতি দেখা যাবে। সেপ্টেম্বরের এই কয়েকদিন সিটি করপোরেশন যদি গুরুত্ব নিয়ে কাজ না করে তাহলে গতবারের মত এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদে কাজে লাগানোর পরামর্শ জনস্বাস্থ্যবিদদের।