DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ১১ই জুন ২০২৩
ঢাকারবিবার ১১ই জুন ২০২৩

আজকের সর্বশেষ সবখবর

মমির পেটে মিলল ৬০০০ বছর আগের তেলাপিয়ার রেসিপি

News Editor
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০ ৬:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মিশরীয়দের পিরামিড থেকে মমি, খাবার দাবার, পোশাক সব কিছুই মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। মিশরের মমি রহস্য কিছুটা বের করা গেলেও পিরামিড রয়েছে এখনো ধোঁয়াশায়। বিভিন্ন সময় অনেক মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে করে উঠে এসেছে মিশরের নানা অজানা তথ্য। 

প্রাচীন মিশরের ইতিহাসকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে তাদের মমিগুলো। বিশেষ উপায়ে সংরক্ষিত মৃতদেহগুলো মমি নামে পরিচিত। মিশরের পিরামিড এবং এর আশেপাশে অসংখ্য মমি করা মৃতদেহ পাওয়া যায়। এগুলো বেশিরভাগই ছিল মিশরের ফারাও অর্থাৎ রাজা, রানি, তাদের বংশের লোকেদের।

জানা যায়, সেসময় রাজবংশ এবং উচ্চবংশীয় ছাড়া কারো মৃতদেহ মমি করার অনুমতি ছিল না। এতে করে তাদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন হত। আর এটি বেশ ব্যয়বহুলও ছিল বটে। যা মিশরের সাধারণ জনগণের পক্ষে বহন করাও সম্ভব ছিল না। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ফারাওদের জীবনযাত্রা ছিল বেশ রহস্যময়। তারা বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিল।

আরো পড়ুন: 

তাদেরকে খুশি রাখার দায়িত্ব ছিল সমাজের নিম্ন শ্রেণির মানুষের। তিন বেলার খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেত তারা। সেখানে প্রিয়জনের মৃতদেহ মমি করার সুযোগই ছিল না। একটি মৃতদেহ যেন পচে-গলে নষ্ট না হয়ে যায় এজন্য মমি করা হয়। এই তথ্য প্রায় সবারই জানা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে মমি হচ্ছে অপচনশীল মৃতদেহ। তবে মানুষের মৃতদেহ মমি করার ব্যাপারটা বোঝা গেল। জানেন কি? মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পোষা পাখি বা প্রাণীদেরও মমি করা হত। এমন অনেক পাখি, কুকুর, বিড়ালের মমি পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়।

তবে এবারের আবিষ্কার আরো বেশি চমকপ্রদ। ছয় হাজার বছর আগের তেলাপিয়া মাছের রেসিপি। মাছটি ছিল নীল নদের। সম্প্রতি একটি মমির পেটে মিলেছে সেই সময়কার তেলাপিয়া মাছের অস্তিত্ব। মিশরীয়দের খাদ্য তালিকায় মাছ ছিল অনেক বেশি। এছাড়াও বার্লি আর বিয়ার ছিল তাদের প্রিয় খাবার। এই মমিটি ছিল ৩৫০০ থেকে ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। গবেষকরা মমিটির নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিল। তখনই তারা দেখতে পান মৃত্যুর আগে এই ব্যক্তি খেয়েছিলেন যব, সবুজ পেঁয়াজ, তেলাপিয়া মাছ।

আরো পড়ুন :  আমরণ অনশনে অলফুজুর

তেলাপিয়া মাছ যে শুধু তাদের প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল তাই ই নয়। এটিকে তারা দেব দেবীকেও উতসর্গ করত। রক্ষাকবচ হিসেবে এই মাছের আকৃতির তাবিজ ব্যবহার করতেন তারা। এখন তেলাপিয়া চাষ করা হলেও মিশরীয় সময়ে এই মাছ পাওয়া যেত নীল নদেই। তেলাপিয়া মাছ শুধু তাদের খাবারই ছিল না। তাদের শিল্প এবং ধর্মের জায়গাতেও বেশ সমাদৃত ছিল। 

মিশরীয়দের মূল ফসল ছিল গম। এজন্য তাদের খাবারের তালিকায় বেশি থাকত বার্লি এবং গমের তৈরি স্যুপ। এছাড়াও ফল, ফলের রস তাদের প্রিয় খাবার ছিল। বিশেষ করে আঙ্গুরের রস থেকে তৈরি বিয়ার। মিশরীয়দের তৈরি বিয়ার এখনো বিশ্বব্যাপি বেশ চাহিদাসম্পন্ন। আমরা এই মাছকে তেলাপিয়া বললেও মিশরীয়রা ডাকত টিলাপিয়াটি।  

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৪১
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৪৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৪৬
  • ১২:০১
  • ৪:৩৭
  • ৬:৪৯
  • ৮:১৫
  • ৫:১০