ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

মিরপুরের সিআরপিতে ইউএনও ওয়াহিদা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১২৮ বার পড়া হয়েছে

এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম।

তবে থেরাপির জন্য তাকে মিরপুরের সিআরপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রিন লাইনের পা হারানো রাসেলকে আরও ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। এরপরই থাকে মিরপুরের সিআরপির উদ্দেশে নেয়া। সেখানে তাকে থেরাপি দেয়া হবে। কেননা তার হাঁটা-চলা করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা।

ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চার দিন পর তাঁকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তাঁর স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।

এদিকে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও মূল আসামি হিসেবে রবিউল নামের একজনকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামি রবিউল আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

তবে ওয়াহিদার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- এই রবিউল হামলায় জড়িত নয়। যদিও রবিউল হামলাকারী বলে শতভাগ নিশ্চিত পুলিশ।

মিরপুরের সিআরপিতে ইউএনও ওয়াহিদা

আপডেট সময় : ০২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম।

তবে থেরাপির জন্য তাকে মিরপুরের সিআরপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রিন লাইনের পা হারানো রাসেলকে আরও ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। এরপরই থাকে মিরপুরের সিআরপির উদ্দেশে নেয়া। সেখানে তাকে থেরাপি দেয়া হবে। কেননা তার হাঁটা-চলা করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা।

ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চার দিন পর তাঁকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তাঁর স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।

এদিকে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও মূল আসামি হিসেবে রবিউল নামের একজনকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামি রবিউল আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

তবে ওয়াহিদার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- এই রবিউল হামলায় জড়িত নয়। যদিও রবিউল হামলাকারী বলে শতভাগ নিশ্চিত পুলিশ।