আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা
জেলা প্রতিনিধিঃ
আম গাছের ভরা মুকুল দেখে সবারই মন জুড়িয়ে যায়। গাছে গাছে ভরা আমের মুকুলে মৌ মৌ ঘ্রাণ এলাকার চারপাশে ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাশ। আর কিছুদিন পরেই মধুমাসে গাছ ভরা এসব মুকুল থেকে গুটি আম রুপ নিবে পরিপক্ক আমে। চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলাতেই আম গাছে এবার প্রচুর মুকুল এসেছে। মুকুলের মিষ্টি গন্ধে পথচারীদের মন ছুঁয়ে যায়। তাই বাগানে সারিবদ্ধ আম গাছগুলোতে ভরা মুকুলে এ বছর একটু বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছে জেলার চাষিরা।
উপজেলার জেলার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, চাষীরা তাদের বাগানগুলোতে আম গাছের বাড়তি পরিচর্যা করছে। এ বছর বাগানের প্রতিটি আম গাছে মুকুল বেশি ধরেছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও স্প্রে করছেন আম চাষিরা। আবহাওয়া ভালো হলে আমের ফলনও ভালো হয়। এ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব বেশি না হলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে জেলা অধিকাংশ বাগান মালিকরা।
মুজিবনগর ভবরপাড়া গ্রামের আম চাষি আহসান হাবীব জানান, দিন বিশেক আগে তাঁর বাগানের আমগাছগুলোতে মুকুল আসা শুরু করে। বাগানের প্রতিটি গাছই আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। মুকুল আসার পরপরই বাগানের প্রতিটি গাছে পরিচর্যা শুরু করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, আমের ফলন ভালো হবে। লাভের পরিমাণও অন্যান্যে বছরের তুলনায় বেশি হবে ধারণা করছেন এই কৃষক।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর খান জানান, এ বছর মুজিবনগরে ৫ শ হেক্টর জমিতে আমের আবাদা করেছেন আম চাষিরা।
ফেব্রুয়ারির শুরুর দিক থেকেই গাছে গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে এবং এখনো কিছু কিছু বাগানের গাছে মুকুল আসছে। এই মুকুল রক্ষার্থে মাঠ পর্যায়ে আমরা কৃষি বিভাগ থেকে আমচাষিদের বালাইনাশকসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। যাতে করে মুকুল ও আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বেশি মুকুল এসেছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে, ফলন ভালো পাওয়া যাবে।’