ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত Logo ঈশ্বরগঞ্জ পুলিশের অভিযানে গরু চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ৩টি গরু Logo বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে নেমে এসেছে নীরবতা, হারিয়ে গেছে শ্রদ্ধা! Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। Logo তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo কিশোরগঞ্জে গরু চুরি নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০ Logo আঠারবাড়িতে তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকার জনগনের মাঝে প্রচার

মেক্সিকোতে ঝড় ও ভূমিধসে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০৬৭ বার পড়া হয়েছে

মেক্সিকোতে দুই মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের আঘাত এবং ভারী বর্ষণের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ২৭ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

রবিবার (১২ অক্টোবর) দেশটির কেন্দ্রীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিধসে মেক্সিকোর ৫টি রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেরাক্রুজ। এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ জন নিহত হয়েছেন হিদালাগো রাজ্যে। আর পুয়েবলা ও কুয়েরেতারো রাজ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যথাক্রমে ৯ জন এবং ১ জনের মরদেহ।

দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় অনেক এলাকায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বাড়িঘরের ওপর পড়েছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের প্রভাবে গত ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ শুরু হয় মেক্সিকোজুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, শুধু ভেরাক্রুজেই তিন দিনে ৫৪০ মিলিমিটার (২১ ইঞ্চিরও বেশি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

৯ অক্টোবরের পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টির তেজ কমতে থাকে। এ সময় উদ্ধার অভিযানে নামে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও সেনাবাহিনী।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাম গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমন্বয়ে দেশজুড়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সহায়তা করা হবে। কেউ বাদ যাবে না।

প্রসঙ্গত, ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলা ব্যাপক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মেক্সিকোর ৫৫টি শহরে মোট ১৬ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সূত্র : রয়টার্স ও এএফপি

ট্যাগস :

মেক্সিকোতে ঝড় ও ভূমিধসে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭

আপডেট সময় : ১১:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

মেক্সিকোতে দুই মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের আঘাত এবং ভারী বর্ষণের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ২৭ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

রবিবার (১২ অক্টোবর) দেশটির কেন্দ্রীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিধসে মেক্সিকোর ৫টি রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেরাক্রুজ। এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ জন নিহত হয়েছেন হিদালাগো রাজ্যে। আর পুয়েবলা ও কুয়েরেতারো রাজ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যথাক্রমে ৯ জন এবং ১ জনের মরদেহ।

দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় অনেক এলাকায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বাড়িঘরের ওপর পড়েছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের প্রভাবে গত ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ শুরু হয় মেক্সিকোজুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, শুধু ভেরাক্রুজেই তিন দিনে ৫৪০ মিলিমিটার (২১ ইঞ্চিরও বেশি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

৯ অক্টোবরের পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টির তেজ কমতে থাকে। এ সময় উদ্ধার অভিযানে নামে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও সেনাবাহিনী।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাম গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমন্বয়ে দেশজুড়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সহায়তা করা হবে। কেউ বাদ যাবে না।

প্রসঙ্গত, ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলা ব্যাপক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মেক্সিকোর ৫৫টি শহরে মোট ১৬ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সূত্র : রয়টার্স ও এএফপি