DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাসোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাসোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেহেরপুরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শত শত বিঘা বোরো শুকিয়ে চিটা!

DoinikAstha
এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৪:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রতিনিধিঃ

চলতি বোরো মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, চাষিদের মুখে এমনটাই শোনা গিয়েছিল।

কিন্তু অজ্ঞাত রোগে মেহেরপুর জেলায় শত শত বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে এটা তেমন কিছু নয়, ক্ষতির পরিমাণ মাত্র ১ ভাগ। তবে কৃষকদের অভিযোগ অজ্ঞাত রোগে তাঁদের মাঠের পর মাঠ ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোনো পরামর্শ তারা পাচ্ছেন না।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ৩টি উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করেছে ১৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এবার জেলায় মোট ১৯ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।

যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫০ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে চাষিদের মুখে এমনটাই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ চাষিদের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়েছে। ধানে শীষ আসার পরপরই ধান সাদা হয়ে চিটা পড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

সরেজমিনে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর রাজাপুর, খোকসা, কালাচাঁদপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠের ঘুরে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ধান পেকে গেছে, কিন্তু বাস্তবে মাঠের পর মাঠ জুড়ে ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হঠাৎ করে জমির ধানে এমন রোগ দেখা দেওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি মলিন হয়ে গেছে।

রাজাপুর গ্রামের চাষি কবিরুল ইসলামসহ একাধিক চাষি অভিযোগ করে বলেন, এত বড় খবর অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠে আসেননি। তাঁদের অভিযোগ কর্মকর্তারা মোটরসাইকেলযোগে আসেন রাস্তার দুই পাশে তাকিয়ে চলে যান। এ অবস্থায় যেখানে বিঘাপ্রতি ধানের ফলন হওয়ার কথা ২০-২৫ মন, সেখানে বিঘা প্রতি ১ মণ ধান পাওয়া যাবে কিনা সে নিয়ে চাষিদের সন্দেহ রয়েছে।

আরো পড়ুন :  বেনাপোলে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তি

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হিট স্ট্রোক হওয়ায় ধানের এই ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এক ভাগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।’

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০