ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন প্রচুর প্রচেষ্টা এবং একনিষ্ঠতা। এটি একটি ধীর যাত্রা যার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তবে যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার জীবনে কিছু সাধারণ পরিবর্তন আনলে তা ওজন কমানোর যাত্রাকে দ্রুততর করতে সহায়তা করতে পারে?
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস,অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা এবং অন্যান্য অনেক কারণই অতিরিক্ত ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী। অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় ডায়াবেটিস, জয়েন্টে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার মতো অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত শরীরচর্চার মতো সবকিছু চেষ্টা করে থাকেন তবে তা চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন রয়েছে যা আপনি আপনার প্রতিদিনের রুটিনে যোগ করতে পারেন এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে পাঁচটি সহজ টিপস যা আপনাকে ৩ দিনের মধ্যে ১ কেজি ওজন কমাত সহায়তা করতে পারে। জেনে নিন কোন কাজগুলো করবেন-
শরীরচর্চা
কেবল সঠিক ডায়েট অনুসরণ করলেই ওজন কমবে এমনটা নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে ফিট ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য নিয়মিত জিমে না গেলেও চলবে। জগিং, হাঁটা কিংবা সিঁড়ি ভাঙার মাধ্যমেও আপনি শরীরচর্চার কাজ অনেকটা সারতে পারেন।
গরম পানি পান করুন
ওজন হ্রাস করার জন্য গরম পানি পান করা সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। গরম পানি শরীরের সঞ্চিত ফ্যাট কেটে ফেলে, যা আরও ওজন কমাতে সহায়তা করে।গরম পানি পান শরীরকে ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে একগ্লাস উষ্ণ গরম পানি আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ওজন হ্রাস করার অন্যতম প্রয়োজনীয় উপায়।
চিনি বাদ দিন
আপনার খাবারের তালিকা থেকে চিনি বাদ দেয়া ওজন হ্রাস করার অন্যতম দ্রুত উপায়। সুতরাং, আপনি যদি ওজন কমানোর স্কেলটি দ্রুত গতিতে দেখতে চান তবে আপনার চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনা দরকার।চিনি বিপাকের হারকে ধীর করে দেয় যা আপনার ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি মিষ্টিপ্রেমী হয়ে থাকেন তবে চিনির বদলে গুড় এবং মধু বেছে নিন।
গ্রিন টি পান করুন
প্রতিদিন তিন কাপ গ্রিন টি খেলে তা আপনার বিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রিন টি শরীরের মেদ দ্রুত জ্বলতে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা, যা আপনাকে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং কাঙ্ক্ষিত মাপে ফিরে আসতে সাহায্য করে।
খাবারে প্রোটিন যোগ করুন
প্রোটিন আপনার তৃপ্তি বজায় রাখে এবং এটাসেটা খাওয়া থেকে বিরত রাখে, যা শেষ পর্যন্ত আপনাকে ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে তা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপনি যদি নিরামিষাশী হন তবে শিমের বিচি, ডাল, দই এবং পনির জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করে আপনার ডায়েটে প্রোটিন যুক্ত করতে পারেন।