ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরের পীরগঞ্জে স্বজনহারা মানুষের আহাজারি : পরিবারের ৫ জনের কেউ বেঁচে নেই

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ১০৯৪ বার পড়া হয়েছে
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামে গ্রামে স্বজনহারা মানুষের আহাজারি চলছে। রাজশাহী গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের চালকসহ ১৭ জন।
জানা গেছে, বড় মজিদপুরের ফুল মিয়াসহ পরিবারের ৫ জনের কেউ বেঁচে নেই। স্ত্রী নাজমা, ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল, দ্বিতীয় শ্রেণির সুমাইয়া আর ৪ বছরের সাবিহাকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা।
নিহতের একজন স্বজন বলেন, বড় ভাই, ভাবি, তিনটা বাচ্চা ছিল। দুই বোন গেছিল, আমার বোন জামাই গেছিল আর আমার ছোট বোনের দুইটা বাচ্চা গেছিল।
রাজারামপুর গ্রামের সালউদ্দিন, তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ৮ বছরের ছেলে সাজিদ, দেড় বছরের শিশু সাফা, শ্যালিকা কামরুন্নাহার, দড়িকাপাড়া গ্রামের মোখলেসার, তার স্ত্রী পারভীন ও ৪ বছরের ছেলে পাভেল, থানাপাড়ার ব্যবসায়ী ভূট্টু, স্ত্রী মুক্ত ও ১৪ বছরের ছেলে ইয়াসিন এবং দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুলকে হারিয়ে পাগল তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশীরা জানান, রাজশাহীর একটা মাজার দেখতে ছোট ভ্রমণের জন্য সকালে বের হয় তারা। তিনটি ফ্যামিলিসহ ওরা মোট ১৩ জন ছিল আর একজন সঙ্গে ছিল।
পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কয়েক জন ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চালক হানিফসহ সবাই মারা যান।

ট্যাগস :

রংপুরের পীরগঞ্জে স্বজনহারা মানুষের আহাজারি : পরিবারের ৫ জনের কেউ বেঁচে নেই

আপডেট সময় : ০৪:১৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামে গ্রামে স্বজনহারা মানুষের আহাজারি চলছে। রাজশাহী গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের চালকসহ ১৭ জন।
জানা গেছে, বড় মজিদপুরের ফুল মিয়াসহ পরিবারের ৫ জনের কেউ বেঁচে নেই। স্ত্রী নাজমা, ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল, দ্বিতীয় শ্রেণির সুমাইয়া আর ৪ বছরের সাবিহাকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা।
নিহতের একজন স্বজন বলেন, বড় ভাই, ভাবি, তিনটা বাচ্চা ছিল। দুই বোন গেছিল, আমার বোন জামাই গেছিল আর আমার ছোট বোনের দুইটা বাচ্চা গেছিল।
রাজারামপুর গ্রামের সালউদ্দিন, তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ৮ বছরের ছেলে সাজিদ, দেড় বছরের শিশু সাফা, শ্যালিকা কামরুন্নাহার, দড়িকাপাড়া গ্রামের মোখলেসার, তার স্ত্রী পারভীন ও ৪ বছরের ছেলে পাভেল, থানাপাড়ার ব্যবসায়ী ভূট্টু, স্ত্রী মুক্ত ও ১৪ বছরের ছেলে ইয়াসিন এবং দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুলকে হারিয়ে পাগল তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশীরা জানান, রাজশাহীর একটা মাজার দেখতে ছোট ভ্রমণের জন্য সকালে বের হয় তারা। তিনটি ফ্যামিলিসহ ওরা মোট ১৩ জন ছিল আর একজন সঙ্গে ছিল।
পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কয়েক জন ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চালক হানিফসহ সবাই মারা যান।