বিশ্বজুড়ে একটি সাধারণ রোগ ডায়াবেটিস। এটি একটি বিপাকীয় ব্যাধি যা দেহে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। বিভিন্ন ধরণের ডায়াবেটিস রয়েছে, টাইপ ১, টাইপ ২, টাইপ ৩, গর্ভকালীন এবং প্রাক-ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস শরীরকে দুর্বল করার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো করা, স্থূলত্ব, কিডনি এবং চোখের সমস্যা দেখা দেয়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে ব্যহত করে। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ওষুধ ছাড়াও শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রাও ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
পেঁয়াজের রস, কম ক্যালোরি ডিটক্স পানীয় সম্পর্কে কথা বলছি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
পেঁয়াজ সালাত হিসাবেও অনেকে কাঁচা খান। এটি স্যুপ, ফ্রাইটার, বার্গার বা স্যান্ডউইচ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ এমন অনেকগুলো খাবারের মধ্যে একটি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর এবং প্রদাহের মতো হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি শরীরে চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হজমের সাহায্য করে। পেঁয়াজে থাকা আঁশ অন্ত্রের চলাচলকে আরও সহজ করে তোলে। এছাড়া পেঁয়াজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের ফ্রি-র্যাডিক্যালগুলো সাথে লড়াই করতে সহায়ক এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে উপকারী।
পেঁয়াজে কম কার্বোহাইড্রেট থাকে
ওজন কমাতে এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বদা ভারসাম্যযুক্ত শর্করা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেঁয়াজে শর্করা কম থাকে, যা দেহে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আর কার্বোহাইড্রেট খাবার গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার এবং গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।
পেঁয়াজের পানি তৈরির উপকরণ
২ কাটা পেঁয়াজ
১ কাপ জল
১ চা চামচ লেবুর রস
১ চিমটি বিট নুন
প্রস্তুত করার পদ্ধতি: সমস্ত উপাদান নিয়ে একটি ব্লেন্ডারে পিষে নিন। তারপরে এতে লেবুর রস এবং বিট লবণ। নুন পেঁয়াজের তীক্ষ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। এক চিমটি লবণ এবং কিছুটা মধু দিয়েও পান করতে পারেন।
মনে রাখবেন, এটি ওষুধ বা চিকিত্সার বিকল্প নয়। যেকোনো শারীর সমস্যা দেখা দিয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।