আবুল কালাম আজাদ রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীতে নবাগত এসপি শাকিলুজ্জামান এর যোগদান। রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার এম.এম শাকিলুজ্জামান। পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯শে ডিসেম্বর বিকেলে নবাগত পুলিশ সুপার এম.এম শাকিলুজ্জামান রাজবাড়ীতে যোগদানের বিদায়ী পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম(বার) এর কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
আর বিদায়ী পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান মঙ্গলবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রাজবাড়ী ত্যাগ করেন। নবাগত পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহনকালে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন ও বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর তিনি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ দমনে কর্মকর্তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানিয়েছেন।
রাজবাড়ীতে যোগদানের পূর্বে এম.এম শাকিলুজ্জামান খুলনা মহানগর পুলিশে(কেএমপি) উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ৯ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের পৃথক প্রজ্ঞাপনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, পিপিএম (বার)কে ঢাকায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের(অ্যাডিশনাল আইজিপি’র) কার্যালয়ে পুলিশ সুপার পদে এবং খুলনা মহানগর পুলিশের(কেএমপি) উপ-কমিশনার এম.এম শাকিলুজ্জামানকে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার পদে বদলী/পদায়নের আদেশ জারী করা হয়।
২১তম বিসিএস(পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, পিপিএম(বার) ২০১৯ সালের ১৭ই জুলাই রাজবাড়ী জেলার ২৯তম পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে ১বছর ৫মাস ১২দিন দায়িত্ব পালন করেন। রাজবাড়ী জেলার ৩০তম পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানকারী এম.এম শাকিলুজ্জামান ২৪তম বিসিএস(পুলিশ) ক্যাডারের মাধ্যমে ২০০৫ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের যোগদান করেন। তার চাকুরীর শুরু বরিশাল জেলায়।
তিনি ২০০৯ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে সুদান ও ২০১৬ সালে আইভেরিকোস্টে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে খুলনা মহানগরীর উপ-পুলিশ কমিশনার(দক্ষিণ) হিসেবে যোগদান করেন। তার জন্মস্থান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলায়। তিনি ১পুত্র ও ১কন্যা সন্তানের জনক।
আরো পরুন ঃ
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারাতে ইট ভাটার জন্য অবৈধভাবে মাটিকাটার অপরাধে ভাটা মালিক শহীদ উল্লাহকে লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে গুইমারার ছনখলা উতুলপাড়াতে অভিযান চালায় গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার আহমেদ। এ সময় এস্কোবেটর চালকসহ ৩টি মিনিট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।
অবৈধভাবে মাটিকাটায় গুইমারাতে লক্ষ টাকা জরিমানা
বাকি মিনিট্রাক গুলো মাটিভর্তি অবস্থায় পাওয়া যায়। মাটিভর্তি ২টি মিনিট্রাক আটক করে অনুমতি বিহীন মাটি কেটে ইট ভাটায় পরিবহনের দায়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটাস্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২০১৩ এর ৫(১) ধারা লঙ্ঘনের জন্য আইনের ১৫ (১) এর ক-উপধারায় এ জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুইমারা থানার ওসি তদন্ত শফিকুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার আহমেদ বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবের চলমান আছে এবং থাকবে।