আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি, সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের উপর চরম হামলা করেছে বখাটেরা। স্বদেশ প্রতিদিনের রাজবাড়ী গোয়ালন্দ প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের মেয়ে মোছঃ সানজিদা আক্তার সিমি (১৪) বর্তমানে সানসাইন স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে অধ্যায়ন রতছাত্রী।
সিমি স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রতিদিন ইভটিজিং এর শিকার হয় সাব্বির হোসেন ও হিমেল গং নামের দুই বখাটের কাছে।প্রতিদিন সিমিকে রাস্তায় চলাচলের সময় উত্যাক্ত করে। সিমি বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে, পরিবার তার স্থানীয় গোয়ালন্দ থানায় সাব্বির হোসেনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের বিত্তিতে বখাটে সাব্বির হোসেনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সোপর্দ করা হলে, আলোচনা সাপেক্ষে ২০,০০০/- টাকা জরিমানায় সাব্বির হোসেনকে তার পারিবারিক জিম্মায় দেওয়া হয়।কিন্তু বখাটে সাব্বির হোসেন ও তার সহযোগী হিমেল গং ভিবিন্ন ভাবে সিমিকে অপহরন ও স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এবং স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সিমির পরিবারের বাজে মন্তব্য প্রচার করতে শুরু করে। বখাটে সাব্বির হোসেন ও হিমেল গং সিমির পরিবারকে আক্রমন করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিতে শুরু করে।
অবশেষে ২৬/০৯/২০২০ ইং (সোমবার) রাত ৮:৩০ মিনিটে সাব্বির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায় সিমির বাবা সিরাজুল ইসলাম ও তার চাচা শহিদুল ইসলামের উপর। সন্ত্রাসীদের আতর্কিত হামলায় সিরাজুল ইসলাম চিৎকার শুরু করলে সাব্বির ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা শহিদুল ইসলামের কাছে থাকা নগদ ২০,০০০/- টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে করে শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়, উপস্থিত স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় শহিদুল ইসলামকে স্থানীয় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্সে ভর্তি করানো হয়। স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের উপর হামলার কথা জানতে পেরে স্থানীয় গোয়ালন্দ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়েবী সহ স্থানীয় সকল সাংবাদিক গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।
এবং তারা যারা এ হামলার সাথে জড়িত আছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের উপর আতর্কিত হামলায় ঘটনায় গোয়ালন্দ থানায় বখাটে সাব্বির রহমান ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।ভিকটিমের পরিবার এবং স্থানীয়রা জানায় এ ন্যক্কারজনক ঘটনার যারা দোষী বা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।