ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেফতার করল পুলিশ

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৭৩ বার পড়া হয়েছে

ভারতে হাথরসের পথে গ্রেফতার করা হল রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। একপ্রস্ত ধস্তাধস্তির পর রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে একটি সাদা রঙের মাহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে তুলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে উধাও হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ১৯ বছর বয়সি মৃতা তরুণীর পরিবারের সাথে দেখা করতে আসার জল্পনার মধ্যেই হাথরাস প্রশাসন জেলা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। উক্ত তরুণী মঙ্গলবার দিল্লির সফদারজঙ্গ হাসপাতালে মারা যান ও তাঁর দেহ বুধবার ভোরবেলায় হাথরাস পুলিশের দ্বারা তড়িঘড়ি সত্‍কার করে দেওয়া হয়, যার ফলে এদিন দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

হাথরাসের জেলাশাসক পি লস্কর বলেন যে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা আসার কোনও খবর নেই, এবং যোগ করেন যে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

“হাথরাসের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৪ নম্বর ধারা জেলায় জারি করা হয়েছে, পাঁচজনের বেশি মানুষ একসাথে জড়ো হতে পারবেন না। আমাদের কাছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আসার কোনও খবর নেই। বিশেষ তদন্তকারী দল আজকে মৃতার পরিবারের সাথে দেখা করবে, সংবাদমাধ্যমকে অনুমতি দেওয়া হবে না,” সংবাদসংস্থা এএনআই হাথরাসের জেলাশাসক পি লস্করকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে।

https://twitter.com/kamalthakurinc/status/1311605768303505408?s=20

রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা দুজনেই এই ঘটনটিকে কেন্দ্র করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে প্রবলভাবে আক্রমণ করে চলেছেন।

যোগী আদিত্যনাথের নির্বিকার ভাবকে তীব্র আক্রমণ করে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বলেন তরুণীর মৃত্যু একটি “নৃশংস সরকারের হাতে” ঘটেছে।

“ঘটনাটিকে চেপে দেওয়ার একটি চেষ্টা হয়েছিল। মেয়েটিকে সময়মত চিকিত্‍সা করা হয়নি এবং আরেকজন কন্যা আমাদের মধ্যে নেই। আমি এটা বলতে চাই যে হাথরাসের নির্ভয়া মারা যায়নি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে – একটি নৃশংস সরকারের দ্বারা, তার প্রশাসনের দ্বারা এবং উত্তর প্রদেশ সরকারের অজ্ঞতা দ্বারা,” সোনিয়া গান্ধী একটি ভিডিও বার্তায় বলেন।

“ভারতের এক কন্যাকে ধর্ষণ-হত্যা করা হল, তথ্য লুকানো হল এবং শেষ পর্যন্ত শেষকৃত্য করার অধিকারও তার পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হল,” রাহুল গান্ধী হিন্দিতে টুইট করেন।

শেষ লাইনের অর্থ- “বিজেপি’র স্লোগান ‘কন্যা বাঁচান’ নয়, ‘ঘটনা আড়াল করুন, শক্তি বাঁচান’।”

যোগী আদিত্যনাথের অবিলম্বে পদত্যাগ চেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করেন যে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নিজের পদে আসীন থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।

“পদত্যাগ করুন। মৃতা ও তার পরিবারকে রক্ষা করার বদলে আপনার সরকার উল্টে তাঁদের সবরকম মানবাধিকার মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থাতেও  ছিনিয়ে নিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বজায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার আপনার নেই,” তিনি বলেন।  

আরও পড়ুনঃ ধর্ষণের শিকার নারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেফতার করল পুলিশ

আপডেট সময় : ০৭:৪০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

ভারতে হাথরসের পথে গ্রেফতার করা হল রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। একপ্রস্ত ধস্তাধস্তির পর রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে একটি সাদা রঙের মাহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে তুলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে উধাও হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ১৯ বছর বয়সি মৃতা তরুণীর পরিবারের সাথে দেখা করতে আসার জল্পনার মধ্যেই হাথরাস প্রশাসন জেলা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। উক্ত তরুণী মঙ্গলবার দিল্লির সফদারজঙ্গ হাসপাতালে মারা যান ও তাঁর দেহ বুধবার ভোরবেলায় হাথরাস পুলিশের দ্বারা তড়িঘড়ি সত্‍কার করে দেওয়া হয়, যার ফলে এদিন দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

হাথরাসের জেলাশাসক পি লস্কর বলেন যে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা আসার কোনও খবর নেই, এবং যোগ করেন যে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

“হাথরাসের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৪ নম্বর ধারা জেলায় জারি করা হয়েছে, পাঁচজনের বেশি মানুষ একসাথে জড়ো হতে পারবেন না। আমাদের কাছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আসার কোনও খবর নেই। বিশেষ তদন্তকারী দল আজকে মৃতার পরিবারের সাথে দেখা করবে, সংবাদমাধ্যমকে অনুমতি দেওয়া হবে না,” সংবাদসংস্থা এএনআই হাথরাসের জেলাশাসক পি লস্করকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে।

https://twitter.com/kamalthakurinc/status/1311605768303505408?s=20

রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা দুজনেই এই ঘটনটিকে কেন্দ্র করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে প্রবলভাবে আক্রমণ করে চলেছেন।

যোগী আদিত্যনাথের নির্বিকার ভাবকে তীব্র আক্রমণ করে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বলেন তরুণীর মৃত্যু একটি “নৃশংস সরকারের হাতে” ঘটেছে।

“ঘটনাটিকে চেপে দেওয়ার একটি চেষ্টা হয়েছিল। মেয়েটিকে সময়মত চিকিত্‍সা করা হয়নি এবং আরেকজন কন্যা আমাদের মধ্যে নেই। আমি এটা বলতে চাই যে হাথরাসের নির্ভয়া মারা যায়নি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে – একটি নৃশংস সরকারের দ্বারা, তার প্রশাসনের দ্বারা এবং উত্তর প্রদেশ সরকারের অজ্ঞতা দ্বারা,” সোনিয়া গান্ধী একটি ভিডিও বার্তায় বলেন।

“ভারতের এক কন্যাকে ধর্ষণ-হত্যা করা হল, তথ্য লুকানো হল এবং শেষ পর্যন্ত শেষকৃত্য করার অধিকারও তার পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হল,” রাহুল গান্ধী হিন্দিতে টুইট করেন।

শেষ লাইনের অর্থ- “বিজেপি’র স্লোগান ‘কন্যা বাঁচান’ নয়, ‘ঘটনা আড়াল করুন, শক্তি বাঁচান’।”

যোগী আদিত্যনাথের অবিলম্বে পদত্যাগ চেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করেন যে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নিজের পদে আসীন থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।

“পদত্যাগ করুন। মৃতা ও তার পরিবারকে রক্ষা করার বদলে আপনার সরকার উল্টে তাঁদের সবরকম মানবাধিকার মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থাতেও  ছিনিয়ে নিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বজায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার আপনার নেই,” তিনি বলেন।  

আরও পড়ুনঃ ধর্ষণের শিকার নারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ