ফাতেমা নওশাদ পেশায় একজন নারী স্বাস্থ্যকর্মী। ভারতের কেরালা তাঁর জন্মস্থান। কয়েক বছর আগে রোজার সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। বিজয়া লক্ষ্মী নাম বদল করে ফাতেমা নওশাদ নাম ধারণ করেছেন। তিনি এখন স্বামীর সঙ্গে দুবাই থাকেন।
সম্প্রতি নিজের ইসলাম গ্রহণ বিষয়ে খালিজ টাইমসকে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দেন।
ফাতেমা নওশাদ বলেন, ভারতের কেরালার মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকায় আমার জন্ম। পারিবারিকভাবে আমরা হিন্দু হলেও প্রকৃত অর্থে হিন্দু ধর্মের প্রতি আমরা উদাসীন ছিলাম। প্রতিবেশী মুসলিমদের সঙ্গে মেলামেশার কারণে ইসলাম ধর্মের প্রতি আমি ইতিবাচক আকর্ষণ অনুভব করি। ইসলাম গ্রহণের আগেই রমজানের সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে রোজা পালনের অভিজ্ঞতাও আমার আছে। এরই মধ্যে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। অতঃপর ইসলাম গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করি।
যদিও ভারতে মুসলমান ছেলের সঙ্গে হিন্দু মেয়ের বিয়েকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখা হয় না, তার পরও আমার মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা আমার ইসলাম গ্রহণ ও বিয়ে নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি; বরং খুব সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে আমি দুবাইতে থাকছি।
ফাতেমা নওশাদ বলেন, সর্বপ্রথম কালিমায়ে তাওহিদ পাঠের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। যখন আমি মুখে আল্লাহ-রাসুলের নাম নিলাম, তখন স্বর্গীয় এক প্রশান্তি অনুভব করি। বিগত জীবনের চেয়ে আমার বর্তমান জীবন অনেক বেশি সুখী, শান্তিময় ও সুন্দর বলেই আমার উপলব্ধি। আমি যখন ভোরে ঘুম থেকে জেগে ফজরের সালাত আদায় করি, তখন যে নির্মল একটা সতেজতা অনুভব করি, তা আগে কখনো অনুভব করিনি।
ফাতেমা আরো বলেন, ইসলাম গ্রহণের আগে আমি মুসলিমদের সভ্যতা, শুচিতা ও শালীনতায় মুগ্ধ হতাম। পরে আমি তাদের সম্পর্কে বিস্তর জানতে ও পড়তে শুরু করি এবং শাশ্বত এই ধর্মের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে শিখি। আর এভাবেই ইসলামের সর্বজনীন সত্যতা আমার বন্ধ চোখ খুলে দেয় এবং আজ এ কারণেই আমি বিজয়া লক্ষ্মী থেকে ফাতেমা নওশাদে পরিণত হয়েছি। অনেকে প্রচার করেন, আমি বিয়ের পরে ইসলাম গ্রহণ করেছি। তাঁদের এ অভিযোগ অসত্য; বরং আমি আগে থেকেই ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম এবং ইসলাম গ্রহণ করেছি বিয়ের আগেই। সূত্র: খালিজ টাইমস