এস,এম,স্বাধীন, শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুব উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার ৪ অক্টোবর সকাল ৮টায় সদর হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পুষ্টিসেবা জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন সফল ভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহায়তা করবেন।
রবিবার ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে।সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, ১ হাজার ১৭৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ৬ টি উপজেলার, ৬ টি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৯২ জন লোকের বসবাস এই জেলায়। এর মধ্যে শূণ্য থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৮২ জন, শূন্য থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংস্যা ১ লাখ ৭২ হাজার ৮১৬ জন, ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা(ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন) ১৯ হাজার ৪৭৪ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৮ জন।
৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী মোট শিশুদের সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৬২ জন। পাওয়ার সম্পন্ন নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ২ লাখ পাওয়ার সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান হবে। এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের জন্য জেলায় ১ হাজার ৬১৯টি টিকা কেন্দ্র, ২৫৬ জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১৩০ জন সিএইচসিপি ও ৩ হাজার ২৫৬ জন স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র করে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা থেকে সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ বলেন, ৫ বছরের বেশী বয়সী মানুষ স্বাভাবিক খাবার খেলে শরীরে ভিটামিন ‘এ’ উৎপন্ন হয়। এর কম বয়সী শিুশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য এই ভিটামিন ‘এ’ দেয়া হয়। এর পাশাপাশি শিশুকে মায়ের দুধ ও স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’র কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই। অনেক সময় এসিডিটির কারনে শিশুর বমিবমি ভাব হতে পারে। এই জন্য ভয়ের কোন কারণ নাই।
প্রতিটি শিশু যেন নির্ধারিত দিনের নির্ধারিত সময় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহন করতে পারে সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আহবান জানান সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মনির আহমেদ খাঁন, জেলা ইপিআই সুপারিন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক, মাহাবুবুর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।