ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

মিয়া সুলেমান:  প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৫টার দিকে মিছিলসহ তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার থেকে ১০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা এতে রাজি নন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

গত রোববার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশি বাধা, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের কারণে সেদিনই তারা ছত্রভঙ্গ হন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

সোমবার থেকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানারকে বালিশ বানিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশের ভাষায়, “প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।”

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন শিক্ষকরা।

আজ বুধবার সকাল থেকেই তারা আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হন এবং দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা দেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান ও সেখানেই অবস্থান নেন।

অন্যদিকে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। বিদ্যালয়ের আঙিনা, লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই তারা আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা পোস্ট দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি নয়, বরং পূর্ণ ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা পিছু হটবেন না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকেই তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এমএইচ/আস্থা

ট্যাগস :

শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

আপডেট সময় : ০৮:০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

মিয়া সুলেমান:  প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৫টার দিকে মিছিলসহ তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার থেকে ১০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা এতে রাজি নন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

গত রোববার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশি বাধা, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের কারণে সেদিনই তারা ছত্রভঙ্গ হন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

সোমবার থেকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানারকে বালিশ বানিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশের ভাষায়, “প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।”

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন শিক্ষকরা।

আজ বুধবার সকাল থেকেই তারা আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হন এবং দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা দেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান ও সেখানেই অবস্থান নেন।

অন্যদিকে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। বিদ্যালয়ের আঙিনা, লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই তারা আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা পোস্ট দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি নয়, বরং পূর্ণ ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা পিছু হটবেন না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকেই তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এমএইচ/আস্থা