ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালানে জড়িত ৮ চোরাকারবারীর নামে মামলা

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১০১৯ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্ট: শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালান ব্যবসায় জড়িত থাকায় পুলিশ বাদী হয়ে ৮ চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার।

মামলার আসামীরা হলেন,উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলিগাঁও গ্রামের উমেশ পালের ছেলে অনল পাল, সতীশ পালের ছেলে পিন্টু পাল, একই গ্রামের অধীর পালের ছেলে অবিনাশ পাল, বালিঘাঘাটের আলী রমজানের ছেলে অলি মিয়া, একই গ্রামের অজ্ঞাতনামার ছেলে কাশেম , জেনা মিয় কৃষ্ণতলা গ্রামের কটু দাশের ছেলে দ্বিজেন দাশ ওরফে ডিজেন, হরেন্দ্র তালুকদারের ছেলে জিতু তালুকদার সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩ হতে ৪ জন।
এরপুর্বে মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামে দুটি স্থানে মজুদকৃত বিনাশুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ৪ হাজার ২৫০ কেজি কয়লা জব্দকালে আসামীর তালিকায় থাকা অনল পাল, অবিনাশ পালকে পুলিশী অভিযানের সময় আটক করা হয়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্র জানায়, পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিক্তিত্বে উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট পয়েন্ট ব্যবহার করে একদল চোরাকারাবারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কয়লা এনে তেলিগাঁও গ্রামের দুটি বাড়িতে মজুদ করে নৌপথে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়।
মঙ্গলবার ভোররাতে চোরাই কয়লার চালান আটকে অভিযানে গেলে তেলিগাঁও গ্রামের দুটি বাড়ি থেকে প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কেজি চোরাই কয়লা জব্দ করে থানা পুলিশ।
ওই সময় কয়লা চোরাচালানে জড়িত থাকায় দুই চোরাকারবারীকে আটক করলেও অন্য চোরাকারবারীগণ কৌশলে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার চোরাই কয়লা জব্দকালে উপস্থিত থাকা উপজেলার তেলিগাঁও’র বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য বিষ্ণু পাল জানান,উপজেলার বালিয়াঘাটের আলী রহমানের ছেলে অলি,কৃষ্ণতলার দ্বিজেন দাস ওরফে ডিজেন সহ কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ চিহ্নিত কয়লা চোরাকারবারী কৌশল পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান,উপজেলার কৃষ্ণতলার পলাতক আসামী দ্বিজেন দাশ ওরফে ডিজেনের বসতঘরে অপর পলাতক আসামী জিতু তালুকদারের বসতবাড়ির পেছনে বারিন্ড পালের বসত ঘরে আরো ১১ চোরাকারবারীর যোগসাজসে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা কমপক্ষ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা মুল্যের ৩৫ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা মজুদ রয়েছে।
সাবেক ওই ইউপি সদস্য পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃষ্ফলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ওইসব চোরাই কয়লা জব্দ ও চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।।

[irp]

ট্যাগস :

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালানে জড়িত ৮ চোরাকারবারীর নামে মামলা

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্ট: শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালান ব্যবসায় জড়িত থাকায় পুলিশ বাদী হয়ে ৮ চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার।

মামলার আসামীরা হলেন,উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলিগাঁও গ্রামের উমেশ পালের ছেলে অনল পাল, সতীশ পালের ছেলে পিন্টু পাল, একই গ্রামের অধীর পালের ছেলে অবিনাশ পাল, বালিঘাঘাটের আলী রমজানের ছেলে অলি মিয়া, একই গ্রামের অজ্ঞাতনামার ছেলে কাশেম , জেনা মিয় কৃষ্ণতলা গ্রামের কটু দাশের ছেলে দ্বিজেন দাশ ওরফে ডিজেন, হরেন্দ্র তালুকদারের ছেলে জিতু তালুকদার সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩ হতে ৪ জন।
এরপুর্বে মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামে দুটি স্থানে মজুদকৃত বিনাশুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ৪ হাজার ২৫০ কেজি কয়লা জব্দকালে আসামীর তালিকায় থাকা অনল পাল, অবিনাশ পালকে পুলিশী অভিযানের সময় আটক করা হয়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্র জানায়, পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিক্তিত্বে উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট পয়েন্ট ব্যবহার করে একদল চোরাকারাবারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কয়লা এনে তেলিগাঁও গ্রামের দুটি বাড়িতে মজুদ করে নৌপথে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়।
মঙ্গলবার ভোররাতে চোরাই কয়লার চালান আটকে অভিযানে গেলে তেলিগাঁও গ্রামের দুটি বাড়ি থেকে প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কেজি চোরাই কয়লা জব্দ করে থানা পুলিশ।
ওই সময় কয়লা চোরাচালানে জড়িত থাকায় দুই চোরাকারবারীকে আটক করলেও অন্য চোরাকারবারীগণ কৌশলে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার চোরাই কয়লা জব্দকালে উপস্থিত থাকা উপজেলার তেলিগাঁও’র বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য বিষ্ণু পাল জানান,উপজেলার বালিয়াঘাটের আলী রহমানের ছেলে অলি,কৃষ্ণতলার দ্বিজেন দাস ওরফে ডিজেন সহ কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ চিহ্নিত কয়লা চোরাকারবারী কৌশল পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান,উপজেলার কৃষ্ণতলার পলাতক আসামী দ্বিজেন দাশ ওরফে ডিজেনের বসতঘরে অপর পলাতক আসামী জিতু তালুকদারের বসতবাড়ির পেছনে বারিন্ড পালের বসত ঘরে আরো ১১ চোরাকারবারীর যোগসাজসে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা কমপক্ষ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা মুল্যের ৩৫ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা মজুদ রয়েছে।
সাবেক ওই ইউপি সদস্য পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃষ্ফলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ওইসব চোরাই কয়লা জব্দ ও চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।।

[irp]