শ্রীলঙ্কায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এ জরুরি অবস্থা জারি করলেন। আজ শুক্রবার (৬ মে) মধ্যরাত থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
বৈদেশিক ঋণের ভারে ভেঙে পড়া অর্থনীতির জন্য রাজনীতিকদের দায়ী করে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছেন শ্রীলঙ্কার নাগরিকেরা। দিনদিন বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা গোতাবায়া সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। এ সময়টাতেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট।
আজ সকালে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ছুড়ে।
মাসব্যাপী ব্ল্যাকআউট এবং খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপ দেশটিতে রাজনীতির ময়দান এখন উত্তাল। ক্ষুব্ধ জনগণ অব্যবস্থাপনার জন্য এই সংকটের জন্মদাতা সরকারের পদত্যাগ দাবিতে অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এটাই খারাপ সময় শ্রীলঙ্কার।
পুলিশ তাঁদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে এবং দুটি ট্রাক থেকে জলকামান নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু জনতাকে অবরোধ থেকে সরানো যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমবার ব্যর্থ চেষ্টার পর দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশ টিয়ার গ্যাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলো ধর্মঘট করেছে। আজ লাখ লাখ শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। ট্রেন ছাড়া সবগুলো ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি মালিকানাধীন বাস রাস্তায় নামেনি। শিল্প শ্রমিকেরা তাঁদের কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।