গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরের গেটে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপজেলা বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। পরে দাবীর সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল ইউএনও জগৎবন্ধু মন্ডল এর কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক মো:স্বাধীন মিয়া ও এ.কে.এম. শামসুজ্জোহা রঞ্জু।
ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ শাহিন মিয়া, শিমুল মিয়া, ইসমাইল হোসেন, সাজিদুল ইসলাম, মোছাঃ তৌহিদা আক্তার,মেহেদী হাসান, নূরে আলম সুজন, প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা ১৩ তম গ্রেডে (৩য় শ্রেণি)বেতন পাচ্ছেন। অথচ তাদের সমান যোগ্যতায় অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে ১০ম গ্রেডে (২য় শ্রেণি) বেতন পাচ্ছেন। বিশেষ করে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ১০ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।এটা স্পষ্টতাই একটা বড় বৈষম্য।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয় মো: শাহিন মিয়া জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক, এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে-স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ১০ম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন হয় ১৩ তম গ্রেডে। সেটা ১০ম গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দিলেন সহকারী শিক্ষকরা।