ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

সাভারে বংশীনদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ এক নারী লাশ

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৫৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আহসান হাবীব, সাভার প্রতিনিধি ঢাকাঃ রোববার ৪ এপ্রিল দুপুরের পর সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর সাহিদা আক্তার হ্যাপি নামে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয় প্রেমিক বাবু আকন্দ। বাবুকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। রোববার দুপুরে আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে সাহিদার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে ৩১ মার্চ আশুলিয়ার কুরগাও এলাকার বাবু আকন্দের নিজ বাড়িতে তাকে হত্যা করে। নিহত হ্যাপি বরিশাল জেলার হিজলা থানার কোলচড় এলাতার কুদ্দুস ব্যাপারীর মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার কুরগাও এলাকায় ভাড়া থেকে স্নোটেক্স কারখানায় কাজ করতেন। গ্রেফতার বাবু আকন্দ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার কুমিরমারা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। পুলিশ বলেন, বুধবার রাতে ৩১ মার্চ হ্যাপি প্রেমের সম্পর্কের জেরে বাবুর সাথে তার বাড়িতে দেখা করতে যায়। পরে সেখানে বিয়ের জন্য চাপ দেয় হ্যাপি। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হ্যাপিকে তার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ করে। পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেন। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহের সূত্র ধরে কথিত প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার ৫ দিন পর হ্যাপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার ৩১ মার্চ রাতে বাবু আকন্দ হ্যাপিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের সহায়তা চায়। তবে সিএনজি চালক বিষয়টি কৌশলে র‌্যাব-৪ কে জানায়। পরে র‌্যাব বাবু আকন্দকে শুক্রবার রাতে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মরদেহ ফেলে দেওয়ার স্থান নিশ্চিত করে বাবু। পরে বাবুর দেওয়া দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়ারহাট এলাকার বংশীয় নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাহিদার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে রিমান্ড চেয়ে বাবুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

সাভারে বংশীনদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ এক নারী লাশ

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

মোঃ আহসান হাবীব, সাভার প্রতিনিধি ঢাকাঃ রোববার ৪ এপ্রিল দুপুরের পর সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর সাহিদা আক্তার হ্যাপি নামে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয় প্রেমিক বাবু আকন্দ। বাবুকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। রোববার দুপুরে আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে সাহিদার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে ৩১ মার্চ আশুলিয়ার কুরগাও এলাকার বাবু আকন্দের নিজ বাড়িতে তাকে হত্যা করে। নিহত হ্যাপি বরিশাল জেলার হিজলা থানার কোলচড় এলাতার কুদ্দুস ব্যাপারীর মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার কুরগাও এলাকায় ভাড়া থেকে স্নোটেক্স কারখানায় কাজ করতেন। গ্রেফতার বাবু আকন্দ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার কুমিরমারা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। পুলিশ বলেন, বুধবার রাতে ৩১ মার্চ হ্যাপি প্রেমের সম্পর্কের জেরে বাবুর সাথে তার বাড়িতে দেখা করতে যায়। পরে সেখানে বিয়ের জন্য চাপ দেয় হ্যাপি। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হ্যাপিকে তার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ করে। পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেন। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহের সূত্র ধরে কথিত প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার ৫ দিন পর হ্যাপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার ৩১ মার্চ রাতে বাবু আকন্দ হ্যাপিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের সহায়তা চায়। তবে সিএনজি চালক বিষয়টি কৌশলে র‌্যাব-৪ কে জানায়। পরে র‌্যাব বাবু আকন্দকে শুক্রবার রাতে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মরদেহ ফেলে দেওয়ার স্থান নিশ্চিত করে বাবু। পরে বাবুর দেওয়া দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়ারহাট এলাকার বংশীয় নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাহিদার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে রিমান্ড চেয়ে বাবুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।