ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • / ১২৭৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আহসান হাবীব, সাভার প্রতিনিধি ঢাকাঃ বুধবার ৩১ মার্চ সাভার বাজার রোডে প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন রেজিস্ট্রির করে ১০মাস আগে স্বামীর ভাড়া বাড়িতে

স্ত্রীর মর্যাদা ও ইসলামিক রীতি অনুযায়ী বিয়ের দাবিতে অনশন করে একজন কলেজ ছাত্রী। কলেজছাত্রীর নাম সানজিদা মল্লিক বর্ষা। তিনি ঢাকার ধামরাই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাবুল মল্লিকের মেয়ে। তার স্বামী রুমিন রায়হান খান একই এলাকার রায়হান খানের ছেলে।

তিনি মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্সে পড়ে। বিয়ের নিকাহনামা অনুযায়ী, তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় গত বছরের ১৫ মে । এরপর বিভিন্ন টালবাহানা করে নিজের পরিবারের কাছ থেকে বিয়ের কথা গোপন রাখে স্বামী রুমিন রায়হান খান।

সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি হলেও ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এখনো বিয়ে হয়নি তাদের এমনি বাড়িতে তুলে নেন নি স্বামী। বার বার বিয়ের কথা বললেও তাতে রাজি হননি বর্ষার স্বামী। রুমিন বলে, দেড় মাস অথাৎ (জুনমাস) ছাড়া সানজিদাকে ঘরে তোলা সম্ভব নয়। দেড় মাস পর আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেব।

এদিকে সানজিদা বলে, প্রথম দিকে আমার কোনো দাবি না মানলেও পরে তিনটি শর্ত দেয় রুমিন। রুমিনের প্রথম শর্ত দেড় মাস পর বিয়ে হবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শর্ত রুমিন অনার্স পড়াশোনা সম্পন্ন করবে এবং সে পর্যন্ত সানজিদাকে নিজের বাড়িতে বাবা-ভাইয়ের কাছে থাকতে হবে।

রুমিনের পরিবারের লোকজনও এই শর্তই দিয়েছে। বর্ষা আরও বলে, তাকে ঘরে তুলে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া পযন্ত এই অনশন চলবে বলে জানিয়ে ছে।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলে, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনো আসে নি ।

অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ট্যাগস :

সাভারে স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

আপডেট সময় : ০৪:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

মোঃ আহসান হাবীব, সাভার প্রতিনিধি ঢাকাঃ বুধবার ৩১ মার্চ সাভার বাজার রোডে প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন রেজিস্ট্রির করে ১০মাস আগে স্বামীর ভাড়া বাড়িতে

স্ত্রীর মর্যাদা ও ইসলামিক রীতি অনুযায়ী বিয়ের দাবিতে অনশন করে একজন কলেজ ছাত্রী। কলেজছাত্রীর নাম সানজিদা মল্লিক বর্ষা। তিনি ঢাকার ধামরাই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাবুল মল্লিকের মেয়ে। তার স্বামী রুমিন রায়হান খান একই এলাকার রায়হান খানের ছেলে।

তিনি মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্সে পড়ে। বিয়ের নিকাহনামা অনুযায়ী, তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় গত বছরের ১৫ মে । এরপর বিভিন্ন টালবাহানা করে নিজের পরিবারের কাছ থেকে বিয়ের কথা গোপন রাখে স্বামী রুমিন রায়হান খান।

সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি হলেও ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এখনো বিয়ে হয়নি তাদের এমনি বাড়িতে তুলে নেন নি স্বামী। বার বার বিয়ের কথা বললেও তাতে রাজি হননি বর্ষার স্বামী। রুমিন বলে, দেড় মাস অথাৎ (জুনমাস) ছাড়া সানজিদাকে ঘরে তোলা সম্ভব নয়। দেড় মাস পর আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেব।

এদিকে সানজিদা বলে, প্রথম দিকে আমার কোনো দাবি না মানলেও পরে তিনটি শর্ত দেয় রুমিন। রুমিনের প্রথম শর্ত দেড় মাস পর বিয়ে হবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শর্ত রুমিন অনার্স পড়াশোনা সম্পন্ন করবে এবং সে পর্যন্ত সানজিদাকে নিজের বাড়িতে বাবা-ভাইয়ের কাছে থাকতে হবে।

রুমিনের পরিবারের লোকজনও এই শর্তই দিয়েছে। বর্ষা আরও বলে, তাকে ঘরে তুলে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া পযন্ত এই অনশন চলবে বলে জানিয়ে ছে।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলে, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনো আসে নি ।

অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।